ফাইল ছবি।
করোনার টিকার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত। ‘সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি)’ এবং ‘কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)’ এর যৌথ উদ্যোগে দেশীয় উপায়ে তৈরি প্রথম ‘বার্তাবাহক আরএনএ’ (এমআরএনএ) টিকা প্রযুক্তি তৈরির কাজ শেষ। বিশ্বে এই মুহূর্তে যে সব টিকা প্রস্তুতির প্রযুক্তি রয়েছে, তার মধ্যে এমআরএনএ প্রযুক্তিকেই সর্বোত্তম বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা অতিমারি চলাকালীন এমআরএনএ টিকার কার্যকারিতা দেখেছে বিশ্ব। এই প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী মাইক্রোঅর্গানিজমকে চিহ্নিত করায় প্রশিক্ষিত করে তোলে যাতে দ্রুত সেই রোগ সৃষ্টিকারী উপাদানকে দেহ থেকে বিদায় করা যায়।
ভারতে যে টিকা প্রযুক্তিটি তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাবে দেশীয়। অটল ইনকিউবেশন সেন্টার-সিসিএমবি এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য রাজেশ আইয়ার বলেন, ‘‘পরীক্ষামূলক ভাবে ইঁদুরের উপর দু’টি এমআরএনএ টিকা প্রয়োগের পর আমরা তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিরোধ ক্ষমতা লক্ষ্য করেছি।’’ বর্তমানে এমআরএনএ টিকাটি নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এর পর তা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য পাঠানো হবে।
করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী বেশ কয়েকটি টিকা বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে প্রয়োগ হচ্ছে। ভারতের টিকা-গবেষণাও গোটা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে। কিন্তু এত দিন দেশের ভাঁড়ারে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এমআরএনএ টিকা ছিল না। আগামী দিনে সেই অভাব মিটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে আমেরিকা, ইউরোপে মডার্না, ফাইজারের এমআরএনএ টিকা ব্যবহার হয়েছে। এ বার ভারতেও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বার্তাবাহক আরএনএ টিকার প্রয়োগ শুরুর পথে।