সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণের হার। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শুক্রবার দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দু’লক্ষ ৬৪ হাজার। শনিবার আরও বেড়ে হয় দু’লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৫৩। আর রবিবার তা পৌঁছল দু’লক্ষ ৭১ হাজারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা শনিবারের তুলনায় কম।
সামান্য কমেছে সংক্রমণের হারও। শনিবার তা ছিল ১৬.৬৬ শতাংশ। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যানে তা কমে হয়েছে ১৬.২৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১৬.৬৯ শতাংশ। শনিবার দেশে ৪০২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।
এই ৩১৪ জনের মধ্যে কেরলে মৃত্যু হয়েছে ১০৬ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব মতো গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এর ফলে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৭৯জন।
যে ভাবে প্রতি দিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে দৈনিক তিন লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে যে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা, তা ছুঁতে বেশি দিন লাগার কথা নয়। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে চলতি করোনাস্ফীতিতে, জানুয়ারির শেষ দিকে ১০ লক্ষ মানুষ দৈনিক করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে একমাত্র আশার আলো জাগাচ্ছে দৈনিক সংক্রমণের হার। যা রবিবার গত দু’দিনের তুলনায় কম।
এ দিকে গোটা দেশেই মানুষ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট কিনে নিজের মতো বাড়িতে বসে করোনা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। ফল পজিটিভ এলে তা চেপেই বাড়িতে বসে থাকছেন। এর ফলে দেশে মোট কত পরীক্ষা হচ্ছে এবং সেই অনুপাতে আক্রান্তের সংখ্যা কত, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে নতুন নিয়ম এনেছে মুম্বই। এ বার থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট কিনতে গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে দোকানে জমা দিতে হবে আধার কার্ডের প্রতিলিপি। এর মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।