ফাইল চিত্র।
সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারকে মোকাবিলা করতে এ বার মাঠে নামছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন (এনসিএম)। ওই আইন নিয়ে মুসলিমদের মনে যে ‘ভুল বোঝাবুঝি ও ভয় রয়েছে’, তা কাটাতে কমিশন পশ্চিমবঙ্গে আলোচনা সভার আয়োজন করতে চলছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ঘায়রুল হাসান রিজভি আজ এ কথা জানিয়েছেন। বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেকেরই অভিযোগ, সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনের মধ্যে এমন প্রয়াস আদতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সাহায্য করতেই।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আগামিকালই থেকে উত্তরপ্রদেশের ছয়টি শহরে এই ধরনের আলোচনাচক্র শুরু হয়ে যাবে। লখনউ থেকে শুরু হয়ে কানপুর, জৌনপুর, গোরক্ষপুর, মেরঠ, মথুরার মতো জায়গায় এই কর্মসূচি এগোবে। পশ্চিমবঙ্গে কমিশন কবে সভা করবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। আলোচনা সভা হবে হায়দরাবাদ, মেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতেও। তাৎপর্যের বিষয় হল, সিএএ বিরোধিতায় এই শহরগুলিতে সম্প্রতি ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। রিজভি জানিয়েছেন, ইমাম, মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে আলোচনাচক্র চালানো হবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের মতে, নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশের মুসলিমদের মনে ভয় ও সংশয় রয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মুসলিমদের বোঝানোর চেষ্টা হবে যে সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছে না, বরং নাগরিকত্ব দিচ্ছে। ভয় ও সংশয় দূর করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
এনসিএম-এর এই পরিকল্পনার মধ্যেই অবশ্য মুসলিমদের অন্তত ২০টি সংগঠন তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে, সিএএ প্রত্যাহারের জন্য রাজ্য সরকার যেন কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানায়।
এরই মধ্য সিএএ, এনআরসি-র বিরোধিতা করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পদযাত্রা শুরু করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ হয়ে দিল্লি পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পথ পেরোবে তাঁর এই ‘গাঁধী শান্তি যাত্রা’। আজ মুম্বই থেকে যাত্রা শুরুর সময়ে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার।