India-China standoff

চিনা সেনার ‘সালামি স্লাইসিং’! পূর্ব লাদাখে ২৬টি পেট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া ভারতের?

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর জওয়ানদের শারীরিক বা প্রযুক্তিগত উপায়ে নজরদারি রয়েছে। তাই ভারতের কোনও এলাকা হাতছাড়া হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাদাখ শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩
Share:

সেনা জওয়ানদের ‘অনিয়মিত’ টহলদারির কারণেই কি এই নজরদারি কেন্দ্রগুলি ভারতের হাতছাড়া? ছবি: পিটিআই ।

পূর্ব লাদাখে ৬৫টি নজরদারি কেন্দ্র (পেট্রোলিং পয়েন্ট বা পিপি)-এর মধ্যে ২৬টি ইতিমধ্যেই ভারতের হাতছাড়া হয়েছে! গবেষণাপত্রে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত সপ্তাহের দিল্লির বার্ষিক পুলিশ বৈঠকে এই গবেষণাপত্র জমা দেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-র প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। সেনা জওয়ানদের ‘অনিয়মিত’ টহলদারির কারণেই এই নজরদারি কেন্দ্রগুলি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “বর্তমানে, কারাকোরাম পাস থেকে চুমুর পর্যন্ত ৬৫টি পিপি রয়েছে যেগুলিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি চলার কথা। কিন্তু ৬৫টি পিপি-র মধ্যে ২৬টি পিপি-তে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও নজরদারি না থাকার কারণে সেগুলি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতীয় জওয়ান বা সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি, তাই এই অঞ্চলগুলি পিএলএ দখল নিয়েছে।’’

চিন এ ভাবে ইঞ্চি ইঞ্চি করে ভারতের জমি দখল করছে এবং পিএলএ-র এই কৌশল ‘সালামি স্লাইসিং’ নামে পরিচিত বলেও গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

গত বছরের ২২ ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর কমপক্ষে ৩০টি পিপিতে ভারতীয় জওয়ানরা আর টহল দিচ্ছে না। এই পয়েন্টগুলিতে নাকি ২০২০ সালের এপ্রিল-মে পর্যন্ত নিয়মিত টহল দেওয়া হত। সেই সময় পূর্ব লাদাখের এলএসির কাছাকাছি সেনা জমায়েত শুরু করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। ২০২০-র ১৫ জুন পূর্ব লাদাখে পিএলএ-র সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘাতের পর ওই কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা আরও কড়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে প্রশাসন এবং সাধারণদেরও এই নজরদারি কেন্দ্রগুলির আশপাশ দিয়ে যাতায়াত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের হাতছাড়া হওয়া কেন্দ্রগুলিতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো শুরু করেছিল পিএলএ-ও। ভারতীয় সেনার তরফেও এলাকাগুলিতে চেকপোস্ট তৈরি করে এবং ছদ্মবেশে জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পিএলএ যাতে কোনও রকম আঙুল তুলতে না পারে বা অশান্তি না সৃষ্টি হয় সেই উদ্দেশ্যেই নজরদারি কমিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। আর সেই সুযোগেই এই কেন্দ্রগুলির দখল নিয়েছে পিএলএ।

যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর জওয়ানদের শারীরিক বা প্রযুক্তিগত উপায়ে নজরদারি রয়েছে। তাই ভারতের কোনও এলাকা হাতছাড়া হয়নি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই সূত্র বলেছে, “কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দুই দেশের সেনার তরফে কিছু এলাকায় টহল দেওয়ায় বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। তা বলে আমাদের দেশের কোনও এলাকা ওদের দখলে যায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement