India-China

বায়ুসেনার ভূমিকায় কড়া বার্তা শত্রুদের: রাজনাথ

লাদাখের প্রসঙ্গ তুলে বায়ুসেনার প্রতি রাজনাথের আহ্বান, যে কোনও ধরনের সম্ভাব্য ঘটনার জন্য তারা যেন তৈরি থাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৫:১৫
Share:

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।—ছবি পিটিআই।

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিন যখন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, তখনই লাদাখ প্রসঙ্গ তুলে ভারতীয় বায়ুসেনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বায়ুসেনার শীর্ষ অফিসারদের এক সম্মেলনে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যে পেশাদারি দক্ষতায় বায়ুসেনা বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরগুলি ধ্বংস করেছে এবং পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে ভাবে যুদ্ধবিমান-সহ সমর-সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে, তাতে শত্রুদের কড়া বার্তা দেওয়া গিয়েছে।

Advertisement

লাদাখের প্রসঙ্গ তুলে বায়ুসেনার প্রতি রাজনাথের আহ্বান, যে কোনও ধরনের সম্ভাব্য ঘটনার জন্য তারা যেন তৈরি থাকে। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা প্রশমণে নিয়মিত বৈঠকে বসছে দু’দেশের সেনা। এই পরিস্থিতিতে বায়ুসেনার শীর্ষ অফিসারদের সম্মেলনের উদ্বোধনে রাজনাথ বেশ কয়েক বার লাদাখ

প্রসঙ্গ তুলে বায়ুসেনার প্রশংসা করেছেন। যা কিনা নিঃসন্দেহেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন কূটনীতিকদের একাংশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি (রাজনাথ সিংহ) বলেছেন, বালাকোটে অত্যন্ত পেশাদারি দক্ষতার সঙ্গে বায়ুসেনা অভিযান চালিয়েছিল। পূর্ব লাদাখে সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থতিতে দ্রুততার সঙ্গে বায়ুসেনা যুদ্ধবিমান-সহ সমর সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। এই দুই ঘটনার মাধ্যমে দেশের প্রতিপক্ষদের কড়া বার্তা দেওয়া গিয়েছে।’

Advertisement

বায়ুসেনার প্রধান আর কে এস ভাদৌরিয়া জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষের যে কোনও কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এবং আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, অরুণাচল, সিকিম ও উত্তরাখণ্ডে চিন সীমান্তে বায়ুসেনার শক্তি বাড়ানোর বিষয় ওই সম্মেলনে সওয়াল করেছেন শীর্ষ অফিসারেরা। তিন দিনের সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে লাদাখ সীমান্তে রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা নিয়ে। চলতি মাসের শেষে ছ’টি রাফাল পেতে পারে বায়ুসেনা।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার গতিবিধির উপরে নজর রাখতে ক্ষিপ্র গতি, অথচ বিশ্বের সবচেয়ে হাল্কা ড্রোন ভারতীয় সেনাকে দিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। এই ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত’। এই ড্রোন হাতে পাওয়ার পরে প্যাংগং লেক, গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি চালাতে ভারতের বেশ সুবিধে হবে বলে মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement