গলওয়ান উপত্যকায় বাড়ছে সেনা মোতায়েন। ছবি: এপি
জলে, স্থলে, আকাশে কড়া নজরদারি। কোনও রকম আগ্রাসনের চেষ্টা হলেই যোগ্য জবাব। শুধু লাদাখ বা গলওয়ান উপত্যকা নয়, ভারত-চিন সীমান্তের পুরো এলাকাতেই সেনার তিন বাহিনীকে এই কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রবিবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত-সহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ সিংহ এমনই বার্তা দিয়েছেন বলে সেনা সূত্রে খবর। চিনা সেনাকে যোগ্য জবাব দিতে তিন বাহিনীকেই ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে বলেও বৈঠক সূত্রে খবর।
সোমবার রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। মস্কো-তে রাশিয়ার বিজয় দিবস উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। তার আগে আজ সিডিএস এবং সেনাপ্রধান এম এম নরবণে, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল কর্মবীর সিংহ এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে গলওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত রয়েছে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার। এ দিনের বৈঠক সূত্রে খবর, এই পুরো সীমান্ত এলাকাতেই জল, স্থল ও আকাশে তীক্ষ্ণ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি চিনা সেনার গতিবিধিও নখদর্পণে রাখার কথা বলেছেন তিনি। কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, চিনের তরফে কোনও রকম আগ্রাসনের মনোভাব বুঝতে পারলেই তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বৈঠক সূত্রে।
আরও পড়ুন: গলওয়ানে চিন সেনার ৪৩ জনের মৃত্যু, বললেন ভি কে সিংহ
আরও পড়ুন: ‘দেখছি কী করা যায়’, ভারত-চিন সঙ্ঘাতে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ট্রাম্প
মে মাসের গোড়াতেই পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে চিন। তার জেরে ভারতও সেনা মোতায়েন বাড়ায়। সেই থেকেই গলওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এর পর ১৫ জুন সোমবার রাতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় দু’দেশের সেনার মধ্যে। ভারতের দিকে এক কর্নেল এবং ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। চিনের দিকে হতাহতের কথা স্বীকার করলেও তার সংখ্যা কত, তা নিয়ে কোনও মুখ খোলেনি বেজিং। এই সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত।