শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষের সঙ্গে দু’দেশের অর্থনৈতিক সংযোগ নিয়ে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।
মলদ্বীপ সফর শেষ করে এ বার আর এক ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ওই অঞ্চলে চিনের একচেটিয়া প্রভাব কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাগর-নীতি (সিকিওরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল রিজিয়ন)-কে শক্তিশালী করাটাই তাঁর এই সফরের অগ্রাধিকার। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত কলম্বোতেই থাকবেন বিদেশমন্ত্রী।
ভারত এমন একটা সময়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দৌত্য করছে, যখন সে দেশের অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পরে কখনও এই রকম খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়নি। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে বিদেশি ঋণের ভারে জর্জরিত। এই দেনার দায় থেকে উদ্ধারের জন্য ভারত কম সুদে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে কলম্বোকে। বিপদের সময়ে পাশে থাকার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি কলম্বোতে বিমস্টেক সম্মেলনেও যোগ দেবেন বিদেশমন্ত্রী। এই সম্মেলনে গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা অবশ্য মিলিত হবেন ভিডিয়ো মাধ্যমে। সেই বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার নকশা তৈরি হবে। ভারতের পক্ষে বিমস্টেক গোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে চিন বা পাকিস্তান নেই। সার্ক যেখানে কার্যত প্রতিনিয়ত গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে, সেখানে বিমস্টেকের মাধ্যমে পাকিস্তানকে এড়িয়ে আঞ্চলিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়াদিল্লির। এ বারের বৈঠকেও সেই চেষ্টাই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষের সঙ্গে দু’দেশের অর্থনৈতিক সংযোগ নিয়ে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য কেনার জন্য শ্রীলঙ্কা সরকারকে ওই ঋণ দিয়েছে ভারত। আজ জয়শঙ্কর আশ্বাস দেন, সে দেশের মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে ভারত পাশে রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা যে ভারতের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর এ বারের সফরে সেটাই স্পষ্ট করা হচ্ছে।