রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
উপাসনা স্থল আইনটি কঠোর ভাবে কার্যকর করার আর্জি নিয়ে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। সিপিএম ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। এমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর মামলা শুনতে রাজি হয়েছে।
১৯৯১ সালের উপাসনা স্থল আইনে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদ বাদ দিয়ে ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে যেখানে যা মন্দির, মসজিদ, গির্জা ছিল, তা তেমনই রেখে দিতে হবে। কোনও চরিত্র বদল চলবে না। সম্প্রতি নতুন করে একাধিক মসজিদ, ইদগা, দরগার নীচে মন্দির ছিল বলে দাবি উঠেছে। তার আগে থেকে উপাসনা স্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঝুলে রয়েছে। অন্য দিকে, ওয়েইসি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন, এইআইন কঠোর ভাবে কার্যকর করা হোক, যাতে মন্দির-মসজিদ বিবাদ নিয়ে যাবতীয় মামলা প্রথমেই খারিজ হয়ে যায়। কার্যত একই ভাবে উপাসনা স্থল আইনটির কঠোর প্রয়োগ চাইছে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চও।
সম্প্রতি সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত নতুন করে মন্দির-মসজিদ বিবাদ খুঁচিয়ে তোলার বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন। গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই সব মামলার ফেব্রুয়ারিতে শুনানি হবে। আপাতত মন্দির-মসজিদ নিয়ে নতুন মামলা গ্রহণ ও শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।