Reliance Industries Loan

বকেয়া মেটাতে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ! নতুন বছরে ১১টি ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিল রিলায়্যান্স

বাজারে থাকা বকেয়া ঋণ মেটাতে ১১টি ব্যাঙ্কের সংগঠন থেকে ৩০০ কোটি ডলার ধার নিচ্ছে মুকেশ অম্বানির সংস্থা রিলায়্যান্স। ডলার এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েনে এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৩
Share:

রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি। ছবি: সংগৃহীত।

নতুন বছরের গোড়াতেই ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে চলেছে দেশের বৃহত্তম শিল্প সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড। এর জন্য ১১টি ব্যাঙ্কের সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছেন এই শিল্প গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি। সূত্রের খবর, মোট দু’টি মুদ্রায় এই ঋণ নেবে রিলায়্যান্স। সেগুলি হল, আমেরিকার ডলার এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েন। গত দু’বছরের মধ্যে এত বড় অঙ্কের ঋণ নেয়নি অম্বানি গোষ্ঠী। ফলে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র ভারতীয় শিল্প জগতে চলছে জোর চর্চা।

Advertisement

সূত্রের খবর, পাঁচ বছরের মেয়াদে এই ঋণ নিচ্ছেন মুকেশ। গত মাসে ১১টি ব্যাঙ্কের সংগঠনের তরফে মিলেছে এর চূড়ান্ত অনুমোদন। ধার নেওয়া মোট অর্থের মধ্যে ৪৫ কোটি ডলার জাপানি মুদ্রায় নিচ্ছে রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। আর্থিক ভাবে লাভের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসল এবং সুদ মিলিয়ে ২০২৫ সালে বাজারে প্রায় ২৯০ কোটি ডলারের ঋণ বকেয়া রয়েছে রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর। যদিও এই বিষয়ে এখনও গোষ্ঠীর তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সেই টাকা মেটাতেই নতুন বছরে ফের ঋণ নিচ্ছে মুকেশ অম্বানির গোষ্ঠী। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালে ৮০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছিল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, রিলায়্যান্স জিয়ো ইনফোকম লিমিটেডের জন্য মোট ৫৫ ঋণদাতার কাছ থেকে ওই ঋণ নিয়েছিল অম্বানির সংস্থা।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এ বারের নেওয়া ঋণের মধ্যে ৭০ কোটি ডলার কোথায় কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তার নীল নকশা ছকে ফেলেছে রিলায়্যান্স। চলতি বছরের (পড়ুন ২০২৫) প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে ঋণের অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অম্বানি গোষ্ঠীকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে সর্বাধিক শেয়ার রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার। বাকিরা হল, ডিবিএস ব্যাঙ্ক, এইচএসবিসি, জাপানের এমইউএফজি, ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ফার্স্ট আবু ধাবি ব্যাঙ্ক, সিটি ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল সিআইবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement