BBC News

তল্লাশি অভিযান নয়, সমীক্ষা চালানো হয়েছে, বিবিসি অফিসে আয়কর ‘হানা’ নিয়ে জানাল দফতর

কর ফাঁকি এবং অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আয়কর দফতর বিবিসিকে নোটিস পাঠিয়েছিল ছিল বলে খবর। কিন্তু নোটিসের জবাব বিবিসি দেয়নি, তাই সমীক্ষা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৯
Share:

মুম্বইয়ে বিবিসির দফতরে তখন চলছে আয়কর কর্তাদের ‘সমীক্ষা’। ছবি: রয়টার্স।

প্রেম দিবসের দিন ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ (বিবিসি)-এর দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি। ব্রিটেন সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পরিস্থিতি এমনই যে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। উদ্বেগপ্রকাশ করে বিবৃতি জারি করেছে এডিটরস গিল্ডও। এখনও আয়কর দফতরের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো না হলেও বিবিসির দুই অফিসে যে আয়কর কর্মীরা গিয়েছিলেন এবং নথি খতিয়ে দেখেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন আধিকারিকরা।

Advertisement

বিবিসি অবশ্য ভারতের আয়কর দফতরের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে। সূত্রের খবর, কর ফাঁকি এবং বিবিসির অন্যান্য অনুসারি সংস্থার ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’ (যে দামে সংস্থার একটি বিভাগ পরিষেবা বা পণ্য সেই সংস্থারই অপর বিভাগকে দেয়) সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর কর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এর আগে বিবিসিকে এই বিষয় স্পষ্ট করতে বলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিসের জবাব দেয়নি সংবাদমাধ্যমটি। তাই সমীক্ষা চালানো হয়। এর সঙ্গে অভিযান বা তল্লাশির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর দফতরের কর্তাদের দাবি, বিবিসির অফিসে তাঁরা তল্লাশি অভিযান চালাননি। গিয়েছিলেন সমীক্ষা করতে। তাঁদেরই একটি অংশের দাবি, আয়কর আইনেও তল্লাশি অভিযান এবং সমীক্ষার পার্থক্য উল্লেখ করা আছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ আয়কর দফতরের ১৫ জনের একটি দল পৌঁছয় দিল্লিতে বিবিসির দফতরে। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিজেদের কাছে জমা রাখেন আয়কর কর্তারা। তার পর শুরু হয় ‘সমীক্ষা’। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ‘সমীক্ষা’ চলাকালীন বিবিসির কোনও কর্মীকে বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আয়কর দফতরের দলটি বিবিসির ফিন্যান্স বিভাগের কাছে গত কয়েক বছরের ব্যালান্স শিট (যে খাতায় বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ থাকে) দেখতে চান। লেনদেনের সমস্ত নথিও চেয়ে নেন তাঁরা। তার পর বিবিসির গত কয়েক বছরের সমস্ত হিসাব খতিয়ে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement