মুজফ্ফরনগর। গত শুক্রবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
যেমন কথা, তেমন কাজ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ)-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হলে ‘বদলা’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দেরি হয়নি। মুজফ্ফরনগরের ৬০টিরও বেশি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকানদারদের অপরাধ ছিল, তাঁরা নতুন আইনের বিরোধিতা করেছিলেন।
তবে নতুন আইনের প্রতিবাদে হিংসার ঘটনা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি যেখানে ঘটেছে, সেই লখনউ ও সম্ভলে এখনও পর্যন্ত কোনও দোকানে তালা ঝোলায়নি যোগী সরকার। লখনউয়ের দু’-একটি জায়গায় শুধু তালা ঝোলানোর নোটিস ধরানো হয়েছে।
রাজ্যের আরও ১২টি জেলার সঙ্গে মুজফ্ফরনগরেও হিংসার ঘটনা ঘটেছিল গত শুক্রবার। নমাজের পরেই শুরু হয় সেই সব ঘটনা। ১০টি গাড়ি ও বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। জখম হন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জনাবারো পুলিশ অফিসারও।
ওই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘‘সব ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা বদলা নেব।’’
মুজফ্ফরনগরের দোকানগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে যোগী সরকার কথা রাখলেন!