গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গত ২৪ ঘণ্টায় হাজার দেড়েক কমল করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। রবিবার দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৪৯। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেই অনুযায়ী সংক্রমণ কমে হয়েছে ১৩ হাজার ২০৩। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে করোনার দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যাও।
রবিবারের রিপোর্টে করোনার নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ ছিল ৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৫২। সোমবার সেই সংখ্যাটিই অনেকটা কমে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ২৪৬। সেই কারণেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.৩২ শতাংশ।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৮২ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ২৯৮ জন।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৩৭ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুসারে ২৫ জানুয়ারি, সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৬ লক্ষ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। রবিবার সারা দেশে মোট ৩১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে কর্নাটকে। তারপরেই রয়েছে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)