ছবি: পিটিআই।
কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চরমে উঠেছে। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির বিশেষ নেই বলে জানাচ্ছে প্রশাসন ও বাহিনী।
গত বুধবার অনন্তনাগের বিজবেহারা এলাকায় আচমকা গুলির শব্দ শোনা যায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেছিলেন, বাহিনী জঙ্গি-দমন অভিযানে নেমেছে। কিন্তু বাহিনীর কর্তারাও অবাক হয়েছিলেন। কারণ, তাঁরা ওই এলাকায় কোনও অভিযান করেননি। পরে স্থানীয় বাগিচা থেকে উদ্ধার হয় আদিল ডাস নামে এক আইএস জঙ্গির দেহ। সেখান থেকেই আরিফ হুসেন বাট নামে এক আহত হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার এক ভিডিয়োতে আইএস নেতা খাতিব ডাস দাবি করেছে, হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর চক্রান্ত করে আদিলকে খুন করেছে। তার দাবি, তিন হিজবুল ও লস্কর জঙ্গি আইএসে যোগ দেওয়ার নাম করে আদিল ও আর এক আইএস সদস্য তুররাবের সঙ্গে দেখা করে। আদিলদের সঙ্গে দেখা হতেই গুলিবর্ষণ শুরু করে তারা। সংঘর্ষে আদিল নিহত হয়। তুররাব কোনও ক্রমে পালায়। আহত হয় হিজবুল জঙ্গি আরিফ। ভিডিয়োতে হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ় নাইকুকে ‘রিয়াজ় নালায়েক’ বলে গালিগালাজ করেছে খাতিব। আদিলের আততায়ী হিসেবে তিন জঙ্গির ছবিও দেখিয়েছে সে। খাতিবের দাবি, এ বার হিজবুল জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যদের উপরে হামলা চালাবে আইএস।
নিহত আইএস নেতা জ়াকির মুসা এক সময়ে হিজবুলের সদস্য ছিল। পরে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে মতান্তরের জেরে সে আলাদা সংগঠন তৈরি করে। সেই সংগঠনকে আলাদা আলাদা ভাবে স্বীকৃতি দেয় আইএস ও আল কায়দা। লস্কর ও হিজবুলের মতো পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট সংগঠনগুলির দাবি, মুসার সংগঠন আসলে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর তৈরি। কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এর বদনাম করার জন্যই তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। মুসার সংগঠনে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেয় তারা। তবে জঙ্গিদের মধ্যে এমন হানাহানির নজির বিশেষ নেই বলেই দাবি গোয়েন্দাদের।