কাজ খুইয়ে বাড়ির পথে দুই পরিযায়ী শ্রমিক। —ফাইল চিত্র
করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে গত বছর লকডাউনের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। সেই পর্বে বহু কর্মীর কাজ খোয়ানোর সাক্ষী ছিল দেশ। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে বেকারত্বের হার ছাড়িয়েছিল ২০%। এখন অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের সেই হার ঊর্ধ্বমুখী। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে সারা দেশে বেকারত্বের হার ১১.৯%। শহরে এবং গ্রামে তা যথাক্রমে ১৪.৭৩% এবং ১০.৬৩%।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় ঝড় আটকাতে সম্প্রতি স্থানীয় বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের মতো কড়াকড়ির পথে হেঁটেছে রাজ্যগুলি। ফলে ফের মাথা তুলেছে বেকারত্ব। তাঁদের ব্যাখ্যা, মে মাসের মাঝামাঝিই দেশে ১০ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছিল বেকারত্বের হার। বিশেষত শহরে তা বেড়ে চলেছে ধারাবাহিক ভাবে। যার সামগ্রিক প্রতিফলন হিসেবে ক্রমশ বিবর্ণ হচ্ছে কাজের বাজারের ছবি।
সিএমআইই-র কর্তা মহেশ ব্যাসের বক্তব্য, দেশে কাজের সংখ্যা এপ্রিলের ৩৯.০৮ কোটি থেকে কমে মে মাসে ৩৭.৫৫ কোটি হয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র এক মাসে কাজ হারিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ! যা বেকারত্বের হারকে ৩.৯ শতাংশ বিন্দু বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি গত বছরের এপ্রিলের (তখন ১১.৪ কোটি কাজ গিয়েছিল) ধারেপাশে না-হলেও, কাজ কমার পরিসংখ্যানের নিরিখে রয়েছে তার পরেই। জানুয়ারি থেকে দেশে খোয়া গেল প্রায় ২.৫৩ কোটি কাজ।
সাপ্তাহিক হিসেবেও স্বস্তি নেই। ৩০ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে দিল্লি (৪৫.৬%), হরিয়ানা (২৯.১%), রাজস্থান (২৭.৬%) ইত্যাদি রাজ্যে বেকারত্ব চড়া। পশ্চিমবঙ্গে হার ১৯.৩%। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই হার ছিল ৭.৬%।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের উদ্বেগ, রাজ্যে-রাজ্যে সাম্প্রতিক কড়াকড়ির জেরে অর্থনীতি ধাক্কা খেলে, আগামী দিনেও আরও বহু মানুষের রুজি-রুটি হারানোর সম্ভাবনা।