মগনভাই সোলাঙ্কি। ছবি সংগৃহীত।
নির্বাচনী প্রতীক একটা আছে বটে। তবে তাঁর গোঁফের কাছে কোথায় সে সব লাগে! সেই কবে সুকুমার রায় গোঁফ দিয়ে চেনার কথা বলেছিলেন। গুজরাতের মগনভাই সোলাঙ্কিকে দেখে আবারও সে কথাই মনে পড়বে নির্ঘাৎ। পুরুষ্টু গোঁফের জন্যই সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন তিনি। প্রায় আড়াই ফুটের গোঁফ নিয়ে গুজরাট নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মগনভাই।
উত্তর গুজরাতের হিম্মতনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মগনভাই। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক আপেল। তবে আপেল নয়, নিজের গোঁফ দিয়েই আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন মগনভাই। তিনি প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। ২০১২ সালে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। কর্মসূত্রে কাশ্মীর সীমান্তে বন্দুক হাতে প্রহরা দিয়েছেন। তবে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের পরেই তিনি ঠিক করেন সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন। এই সিদ্ধান্তের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মগনভাই জানিয়েছেন, দেশের প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা এ দেশে বিশেষ কোনও সুযোগসুবিধা পান না। চাকরির শর্ত মেনে তাঁদের দ্রুত অবসরগ্রহণ করতে হলেও বিকল্প কোনও চাকরি দিয়ে সাহায্য করা হয় না বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর দাবি, অবসরগ্রহণের পর তিনি নিজে এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই সক্রিয় রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে মগনভাই জানিয়েছেন, ভোটে জিতলে তিনি সরকারের কাছে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের বিশেষ অবসরকালীন ভাতা দেওয়ার দাবি তুলবেন। অকপটে স্বীকার করেছেন, ভোটপ্রচারে তাঁর সঙ্গে যে গুটিকয়েক লোক থাকছে, তা তাঁর গোঁফ-খ্যাতির জন্যই।
নিজের গোঁফ নিয়ে গর্বিত মগনভাইয়ের কথায়, “সেনার চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ভেবেছিলাম গোঁফটা ছেঁটে ফেলব। কিন্তু আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার গোঁফের প্রশংসা করেন। তারপরই গোঁফের যত্ন নিতে শুরু করি।” গোঁফের জন্য যে তিনি কত ভালবাসা আর উপহার পেয়েছেন, তার খতিয়ান দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “গোঁফের যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ কেউ আমায় টাকা পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ আবার খুশি হয়ে দু’বোতল বিদেশি মদ দিয়ে গিয়েছে।”
তবে নিজের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী মগনভাই। বলছেন, “প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা আমার সঙ্গে রয়েছেন। ভোটে আমিই জিতব।” আড়াই ফুটের গোঁফ নিয়ে তিনি বিধায়ক হতে পারেন কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।