শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তার পর কেটে গিয়েছে পনেরো দিন। শনিবারই আফতাবের ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পর থেকে তিহাড় জেলের ৪ নম্বর কক্ষে কড়া নজরদারিতে ঠাঁই হয়েছে শ্রদ্ধার লিভ-ইন সঙ্গীর।
আফতাবের গ্রেফতারি থেকে জেল হেফাজতে পনেরো দিন কেটে গেলেও পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিল্লি পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মামলায় প্রতি দিনই নতুন নতুন তথ্য হাতে পাচ্ছে পুলিশ। আফতাবের দাবি মতো বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে পুলিশ, কিন্তু এখনও পর্যন্ত পোক্ত কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারেনি তারা। তাই পাঁচ প্রমাণের খোঁজেই তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
চ্যালেঞ্জ ১
শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করে তাঁর দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলেছেন। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এমনই দাবি করেছেন আফতাব। কিন্তু শ্রদ্ধাকে টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায়, তার হদিস এখনও পায়নি পুলিশ। সেই অস্ত্রের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
চ্যালেঞ্জ ২
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর আফতাব তাঁর ফোন ফেলে দিয়েছিলেন। এখন বড় প্রশ্ন, তা হলে শ্রদ্ধা খুনের পরও বেশ কিছু দিন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কী ভাবে চালাচ্ছিলেন আফতাব? শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু পোস্টও করেছিলেন আফতাব। এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মোবাইল উদ্ধার হলে খুনের নেপথ্যে অনেক সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
চ্যালেঞ্জ ৩
শ্রদ্ধার রক্তমাখা পোশাক কোথায়? এখনও সেই পোশাকের হদিস পায়নি পুলিশ।
চ্যালেঞ্জ ৪
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার মাথার চুল উদ্ধার হয়েছে। এই চুলের ডিএনএ এবং ফরেন্সিক পরীক্ষা করিয়ে সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শ্রদ্ধার চুল মিললেও, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাটা মুন্ডু উদ্ধার করা যায়নি।
চ্যালেঞ্জ ৫
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও সিসিটিভি ফুটেজ পায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অধিকাংশ বাড়িতে দু’মাসের বেশি সিসিটিভি ফুটেজের রেকর্ডিং নেই। আর এই মামলা যে হেতু প্রায় ৬ মাস পুরনো, তাই ফুটেজ পেতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে দিল্লি পুলিশকে।