২০১৮ সালের মধ্যে সব টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকের চাকরি স্থায়ী করা হবে। এ বছর মার্চ মাসের মধ্যে নিয়োগ পত্র পাবেন টেট উত্তীর্ণ ১১ হাজার শিক্ষক। আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে আগামী জুলাই মাসে। এই ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি জানান, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে হলে টেট পাশ করা আবশ্যিক থাকছে বলেও মন্ত্রী জানিয়ে দেন।
হিমন্ত বলেন, “৬০ হাজার টেট শিক্ষককে ২০১৮ সালের মধ্যে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হলে গ্রামে ও প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে শিক্ষকের অভাব অনেকটাই মিটবে। তার পর থেকে দুই বা তিন মাস অন্তর শিক্ষকদের ধাপে ধাপে স্থায়ী করা হবে।’’ মন্ত্রী জানান, আগামী দু’বছরের মধ্যে অনেকটা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ধাঁচেই নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। প্রতি বছরের শুরুতে পরীক্ষার তারিখ ও পাঠ্যক্রম ঘোষণা করা হবে, যাতে ভাল ছাত্ররা শিক্ষক হতে পারেন। বর্তমান শিক্ষকরা সপ্তম অসম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্ধিত হারেই বেতন ও সরকারি স্বাস্থ্য বিমাও পাবেন বনে হিমন্ত জানান।
রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক ছাত্রছাত্রীদের অক্ষরজ্ঞান ঠিক মতো না হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় রাজ্য অস্বস্তিতে পড়েছে। হিমন্ত এ নিয়ে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি, অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘শিক্ষকরা ফাঁকি দিলে বা তাঁদের পাঠদানে খামতি বুঝতে পারলে অভিভাবকরা সরব প্রতিবাদ করুন। অভিযোগ জানান শিক্ষা দফতরে।’’ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “রাজ্যে সুশাসন আনতে গেলে প্রথমেই সুশিক্ষা দরকার। যা দিতে পারেন ভাল গুরুরা। স্কুলেই ছাত্রছাত্রীদের চরিত্র গঠন হয়। তাই গোড়া মজবুত করতে হলে ভাল কারিগর প্রয়োজন। নিছক চাকরি নয়, সমাজগঠনের দায়িত্বের কথা মাথায় রাখতে হবে শিক্ষকদেরই।”
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ২০,২১ ও ২২ মার্চ সরকারি আধিকারিকরা রাজ্যের সব স্কুল ঘুরে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান ও পঠনপাঠনের মান যাচাই করবেন। বিধায়ক ও মন্ত্রীরাও ঘুরবেন এলাকার স্কুলগুলিতে। ১২ হাজার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মেধার পরীক্ষা নিয়ে স্কুলগুলিকে গ্রেড নির্ণয় করা হবে।