ফাইল চিত্র
ব্যাটারিচালিত হুইল চেয়ার নতুন কিছু নয়। কিন্তু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (মাদ্রাজ)-র দাবি, তাঁরা এমন ব্যাটারিচালিত হুইল চেয়ার তৈরি করেছে যেটি শুধু মসৃণ রাস্তায় নয়, অসমান জায়গাতেও ব্যবহার করা যাবে। দেশে তারাই প্রথম এই ধরনের হুইল চেয়ার তৈরি করেছে বলে আইআইটির দাবি। আইআইটি-র তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘নিয়োবোল্ট’ নামে এই হুইল চেয়ারের গতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ২৫ কিলোমিটার। ব্যাটারিচালিত হুইল চেয়ারটি একবার চার্জ দিলে একটানা ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ক্ষেত্রে এই গাড়ি অটো রিকশা অথবা মডিফায়েড স্কুটারের তুলনায় সুবিধাজনক এবং সুরক্ষিত বলেও আইআইটি-র দাবি।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষিকা এবং টিটিকে সেন্টার ফর বিহ্যাবিলিটেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডিভাইস ডেভেলপমেন্ট-এর প্রধান সুজাতা শ্রীনিবাসনের নেতৃত্বাধীন এক গবেষক দল এটি তৈরি করেছেন। শুধু ইঞ্জনিয়ার নয়, নির্মাণের ক্ষেত্রে শারীরিক কারণে চলাচলে অক্ষমতা, (লোকোমোটর ডিজ়েবিলিটি) প্রতিবন্ধকতা সংক্রাম্ত গবেষক এবং এই ধরনের রোগের চিকিৎসা যে সব হাসপাতালে হয় তাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়েছিল।
তবে এই আবিষ্কারকে নেহাত আবিষ্কার হিসেবে রেখে দিতে নারাজ মাদ্রাজ আইআইটি কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ দাস এবং সুজাতা যৌথ ভাবে ‘নিয়োমোশন’ নামক একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা খুলেছেন। তার মাধ্যমেই হুইল চেয়ারটিকে বাজারে আনা হবে। নির্মাতাদের বক্তব্য, ভারতে বছরে তিন লক্ষ এমন হুইল চেয়ার বিক্রি হয় যার মধ্যে আড়াই লক্ষ বিদেশ থেকে আমদানি করা। কিন্তু তাতেও ব্যবহারকারীরা সব জায়গায় যেতে পারেন না। বহু ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা শিক্ষা, বিনোদনের মতো জায়গা থেকে শারীরিক ভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের সরিয়ে রাখে। সুজাতার বক্তব্য, তুলনায় কম দামের এই চেয়ারে চাপিয়ে ঘরবন্দি থাকা মানুষদের পৃথিবী বদলে দিতে চান তাঁরা।