আইআইটি হায়দরাবাদের ছাত্রী ছিলেন মমিতা নায়েক। ছবি: সংগৃহীত।
আইআইটি হায়দরাবাদের ভর্তি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হস্টেলের ঘর থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল। আইআইটি হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ একে আত্মহত্যার ঘটনা বললেও তা মানতে নারাজ ওড়িশার ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগে তেলঙ্গানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলার ডুমুরি গ্রামের বাসিন্দা মমিতা নায়েক গত ২৬ জুলাই হায়দরাবাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানকার হস্টেলের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে মমিতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর সহপাঠীরা। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খবর দেন তাঁরা। ২১ বছরের ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মমিতার হস্টেলের ঘর থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম পদক্ষেপ করছেন তিনি।
‘মানসিক চাপে’র জেরে মমিতা এ হেন পদক্ষেপ করেছেন, তা মানতে রাজি নন তাঁর বাবা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ আইআইটি হায়দরাবাদের তরফে তাঁকে কন্যার মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানকার (আইআইটি হায়দরাবাদের) এক প্রিন্সিপাল আমাকে জানিয়েছিলেন, মেয়ের আর নেই। ও পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। তা নিয়ে কোনও রকম চাপও ছিল না। আমাদের কোনও আর্থিক সমস্যাও নেই। আমার মনে হয় না, ও আত্মহত্যা করেছে। ও র্যাগিংয়ের শিকার। ওকে খুন করা হয়েছে।’’ এই ঘটনার তদন্তে তেলঙ্গানার সাগররেড্ডি (গ্রামীণ) থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।