স্টোর কিপারের বিলাসবহুল বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
ভোপালের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার হেমা মীণার সম্পত্তি চমকে দিয়েছিল লোকায়ুক্ত পুলিশকে। মাত্র ৩০ হাজার টাকার বেতনের চাকরি করে কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছিলেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। লোকায়ুক্ত পুলিশই এ বার স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে সাধারণ এক স্টোর কিপারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে।
ভোপালে স্বাস্থ্য দফতরের এক জন স্টোর কিপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন আশফাক আলি। তিনি যখন অবসর নেন, সেই সময়ে তাঁর শেষ বেতনের পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি আশফাকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় লোকায়ুক্ত পুলিশ। তল্লাশির সময় আশফাকের বাড়ি থেকে ৪৬ লক্ষ টাকার সোনা, রুপো এবং নগদ ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
লোকায়ুক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বিলাসবহুল বিশাল বাড়ি আশফাকের। বাড়িতে রয়েছে দামি দামি আসবাব। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে তদন্তকারীরাও স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, সামান্য বেতনের এক সরকারি কর্মীর এই বিশাল সাম্রাজ্য কী ভাবে তৈরি হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজগড়ের জেলা হাসপাতালে স্টোর কিপারের কাজ করতেন আশফাক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, আশফাকের একাধিক জায়গায় সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সেই সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি টাকারও বেশি। তার মধ্যে বেশি কিছু সম্পত্তি রয়েছে আশফাকের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যার নামে। বিলাসবহুল বাসভবন ছাড়াও আশফাকের আরও চারটি বাড়ির হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ১৪ হাজার বর্গফুটের একটি শপিং মলও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, লাতেরিতে আশফাকের একটি স্কুলও রয়েছে। সেই স্কুলভবনটি তিনতলার। আশফাকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
শুধু আশফাকই নন, এর আগে এক ইঞ্জিনিয়ারের বিপুল সম্পত্তি লোকায়ুক্ত পুলিশের হাতে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। ৩০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া হেমা মীণা নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ ৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। শুধু তাই-ই নয়, বিলাসবহুল বেশ কিছু গাড়ি, একশোরও বেশি বিদেশি কুকুর, বিশাল খামারবাড়ির সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।