বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে। ফাইল চিত্র।
সমস্যা তো মিটলই না। উল্টে দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক।
বুধবারই চাকরির ফর্মে কর্মীরা ‘ভার্জিন’ কী না জানতে চেয়ে জলঘোলা করেছিল পটনার সরকারি হাসপাতাল ইন্দিরা গাঁধী ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস(আইজিআইএমএস)।বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের একই সুরে গাইলেন খোদ বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে। বিতর্ক উসকে দিয়ে তিনি জানালেন, ‘ভার্জিন’ মানেআদতে ‘অবিবাহিত মেয়ে’। তাই বিষয়টি নিতান্তই মামুলি।
আরও পড়ুন: সহকর্মীদের রাখি পরাতেই হবে, ফতোয়া দিয়ে পিছোল সরকার
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হল ‘ভার্জিন। এর মানে কন্যা, কুমারী(অবিবাহিত)...আমি মনে করি না শব্দটি আপত্তিজনক। তবুও বিষয়টি সামনেএসেছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, ফর্মের উল্লিখিত প্রশ্নগুলি এইমস-এর ধাঁচে ১৯৮৩ সাল থেকে চলে আসছে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানেই এইব্যবস্থাই চলছে।’’
বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডের সেই বিতর্কিত টুইট:
‘ভার্জিনিটি’ নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভার্জিনিটি’ বা কুমারীত্ব নিয়ে করারই বা কি আছে? এটা নিতান্তই একটা ‘ম্যারিটাল স্ট্যাটাস’ বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এক জন কর্মী চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরে যদি মারা যায় তার জন্য কে দায়ী? নিয়ম চালু করে সরকার এবং সংবিধান। যদি তাদের তরফ থেকে ওই শব্দটি পরিবর্তন করার নির্দেশ থাকে, তা হলে আমরা সেটাই করব।’’
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে পারে কেন্দ্র?
আইজিআইএমএস-এ সদ্য চাকরি পাওয়া কর্মীদের জন্য একটি ফর্ম চালু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাতে কর্মীরা ‘ভার্জিন’ কী না ইত্যাদি নানা ব্যক্তিগত তথ্য লিখিত ভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। এই ফর্মটি ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। সমালোচনার মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেই ওই ফরম্যাটের ফর্ম পেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, হাসপাতাল সুপারিন্টেডেন্টের এও দাবি ছিল, ভবিষ্যতে কোনও কর্মী ধর্ষণের মামলায় জড়িয়ে পড়লে তাতে সাহায্য করবে ওই ‘ভার্জিনিটি’ সম্পর্কিত তথ্য।