ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের মারাত্মক তৃতীয় ঢেউ এড়াতে পারে ভারত, যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শনিবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তবে তৃতীয় ঢেউ সমস্ত জায়গাতে এড়ানো যাবে বা প্রকৃতপক্ষে কোথাও না ঘটতে পারে। তৃতীয় ঢেউ আসা নির্ভর করবে কী ভাবে স্থানীয় পর্যায়ে, রাজ্যগুলিতে, জেলাগুলিতে ও শহরে নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে তার উপর।’’ যদিও বুধবার তিনি বলেন, যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। তবে তা কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় 'দু’বার পরিবর্তিত রূপ' এবং ব্রিটেন রূপভেদের কারণেই ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি বিজয়রাঘবন বলেন, যে নতুন স্ট্রেনগুলি সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাদের মোকাবিলায় টিকারও মানও উন্নত করা দরকার।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত জেরবার দেশ। প্রায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেন ও অন্য ওষুধের চাহিদা। অথচ এরই মধ্যে লাফিয়ে-লাফিয়ে কমছে টিকাকরণের হার। এত দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা দাবি করছিলেন, প্রতিষেধকের অভাব নেই। রাজ্যে-রাজ্যে লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধের কারণেই টিকাকরণ কম হচ্ছে। কিন্তু তার হার যে কমছে এবং প্রতিষেধকের অভাবই যে তার অন্যতম কারণ, সে কথা বৃহস্পতিবার কার্যত মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিডের থেকে রক্ষাকবচ হিসেবে দেশের ৩ শতাংশ মানুষেরও সম্পূর্ণ টিকাকরণ (দু’টি ডোজ়) হয়নি এখনও।