‘কুমারী মা’কে নিয়ে রায় দিল্লি হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।
স্বেচ্ছায় যৌনমিলনে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে নিজের ইচ্ছায় গর্ভপাত করতে পারবেন না কোনও অবিবাহিতা। শনিবার একটি মামলায় এমনই রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালত জানায়, ওই অবিবাহিতার গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স যে হেতু ২০ সপ্তাহের বেশি, তাই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
সম্প্রতি এক ২৫ বছরের তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, প্রেমিকের সঙ্গে নিজের ইচ্ছেয় ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। কিন্তু এখনই তিনি মা হতে চান না। আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চান তিনি। বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ তরুণীর আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন তরুণীর গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স ২৩ সপ্তাহ। ২০০৩ সালের ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগেনেন্সি রুলস্’ অনুযায়ী, অনাগত সন্তানের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হলে গর্ভপাত করা যাবে না।
তরুণীর আবেদন খারিজ করেও এই বিষয়ে দিল্লির স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানায়, আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ, নাবালিকা অবস্থায় সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে অথবা, বিয়ের পর সন্তানসম্ভবা হয়েছেন অথচ দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান— এ সব ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যায়। অন্যথায় নয়। সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ২৩ সপ্তাহের পর ভ্রুণ নষ্ট করা মানে একটি শিশুকে হত্যার অপরাধ করা। ওই তরুণীর যদি পারিবারিক বা সামাজিক সমস্যা থাকে, তিনি বাচ্চাটিকে দত্তক দিতে পারেন। তাঁকে জোর করে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে না। কিন্তু গর্ভপাত নৈব নৈব চ।