Rahul Gandhi

রাহুল সভাপতি পদে ফিরতে না চাইলে বিকল্প খোঁজা হোক, প্রস্তাব তারুরের

লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ১৭:৪৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

নেতা হিসেবে এখনও রাহুল গাঁধীই প্রথম পছন্দ কংগ্রেস কর্মীদের। কিন্তু তিনি রাজি না হলে অন্য উপায় খুঁজতে হবে। নেতৃত্ব সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে দলের উদ্দেশে এ বার এমনই বার্তা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। বিরোধী হিসেবে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত দলের নেতৃত্বে ফেরার কোনও ইঙ্গিত দেননি রাহুল গাঁধী। তাই তাঁর অপেক্ষায় হাতে হাত রেখে বসে না থেকে, নতুন সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া উচিত বলে মত তারুরের।

লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি হিসেবে দলের হাল ধরেন সনিয়া গাঁধী। ঠিক ছিল, নতুন সভাপতি দায়িত্ব হাতে না নেওয়া পর্যন্ত সাময়িক ভাবে ওই পদে থাকবেন তিনি। কিন্তু তার পর এক বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।

তা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই দলকে রাহুল গাঁধীর বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন শশী তারুর। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে নিয়ে মানুষের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। তা রুখতে হলে অবিলম্বে সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে আমাদের। এমন এক জন নেতাকে খুঁজতে হবে, যিনি পূর্ণমেয়াদের সভাপতি হবেন।’’ সভাপতি নির্বাচিত করা গেলে, দলে সাংগঠনিক স্তরে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করা এবং দ্রুত তার সমাধান সম্ভব হবে। তখন নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করা যাবে বলে মত তারুরের।

Advertisement

আরও পড়ুন: উঠতে পারে ‘মানচিত্র’ প্রসঙ্গ, ১৭ অগস্ট ভারত-নেপাল বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক​

কংগ্রেস নেতারা গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতৃত্বে বসানোর কথা ভাবতে পারেন না বলেই, আজও সভাপতি নির্বাচন আটকে রয়েছে বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তারুরের কথায়, ‘‘এ কথা সত্য যে কংগ্রেস নেতাদের মনে নেহরু-গাঁধী পরিবারের বিশেষ জায়গা রয়েছে। তার অনেক কারণও রয়েছে। ভিন্ন গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এবং ভিন্ন মতালম্বী মানুষদের একত্রিত করে রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ওঁদের। ক্ষমতায় থাকাকালীন তো বটেই কঠিন সময়েও দলকে যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওঁদের। দলে ওঁদের অবদান এবং ওই পরিবারের দুই প্রাক্তন সভাপতির আত্মত্যাগ ভোলা যায় না।’’

রাহুল চাইলে যে কোনও মুহূর্তে দলের সভাপতি পদে ফিরতে পারেন বলেও জানান তারুর। তাঁর যুক্তি, ‘‘রাহুল যদি ফের নেতৃত্বে ফিরতে চান, শুধু পদত্যাগপত্রটি তুলে নিলেই হবে। কারণ ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাই আবার দায়িত্ব হাতে তুলে নিলেই হল। কিন্তু উনি যদি তাতে রাজি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিকল্প সমাধান খুঁজতে হবে আমাদের। কারণ এক জন অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সব দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেবেন, এমনটা আশা করা যায় না। তাই সভাপতি পদে এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আসনগুলিতে নির্বাচন হলে তা দলের পক্ষেই লাভজনক।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’, দেশের জিডিপি নিয়ে মোদীকে নিশানা রাহুলের​

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সভাপতি নির্বাচন করা গেলে, ভাবী সভাপতির নেতৃত্বের প্রতি দলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে এবং তা দলকে চাঙ্গা করার পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক হবে বললে মত শশী তারুরের। তবে এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা উচিত না উচিত নয়, তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement