ছবি পিটিআই।
নিজেদের রিপোর্টকেই খারিজ করে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ভারতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নীতি নির্ধারণের দায়িত্বে রয়েছে ওই সংস্থা।
আগামী কয়েক মাস দেশের করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে, কী পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে কত দিন চালানো সম্ভব— এই সব খতিয়ে দেখার জন্য আইসিএমআরের নির্দেশে সমীক্ষা নেমেছিল ‘অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপ’। গত কাল সেই রিপোর্ট ফাঁস হলে জানা যায়, আগামী নভেম্বরে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে চলেছে। রোগী বাড়তেই থাকলে নভেম্বরের পর থেকে কম পড়বে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর।
ওই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে আসার পরেই আজ আইসিএমআর-এর তরফে বলা হয়, তারা এই ধাঁচের কোনও সমীক্ষাই চালায়নি। ওই রিপোর্ট আইসিএমআরের সরকারি অবস্থান নয়। সূত্রের মতে, যে ভাবে সরকারের পরিকাঠামোগত খামতি তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ শীর্ষ সরকারি কর্তারা। সেই কারণে তড়িঘড়ি আজ ওই রিপোর্টকে খারিজ করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত পরীক্ষা, সায় র্যাপিড অ্যান্টিজেনে
তবে এই প্রথম নয়। অতীতেও কোভিড সংক্রান্ত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করে দেওয়ায় আইসিএমআর-এর এপিডিমিয়োলজি এবং কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়ের প্রধান রমন গঙ্গাখেদকরকে কার্যত সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধী এক নেতার কথায়, ‘‘উনি ভুল করে বলে ফেলেছিলেন, চিন থেকে আনা কোভিড পরীক্ষার কিটের মান খারাপ থাকায় রাজ্যগুলিকে তা ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।’’ চিন থেকে ওই কিট বেশি দামে ভারতে আমদানি করেছিল গুজরাতের একটি সংস্থা। সে দিনের পর থেকে পরবর্তী দেড় মাসের সাংবাদিক বৈঠকে এক বারই দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: যেখানে যেমন অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নিদান?
আইসিএমআর বিবৃতি দিয়ে রিপোর্ট অস্বীকার করলেও সংক্রমণ কিন্তু থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১১,৫০২ জন। ফলে মোট সংক্রমিত ৩,৩২,৪২৪ জন। গত এক দিনে ৩২৫ জন মারা যাওয়ায় এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গিয়েছেন ৯,৫২০। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, আশার বিষয় হল, আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগী ১,৫৩,১০৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ১,৬৯,৭৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ১.১৫ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।