Srinagar Air Base

রাতের লাদাখে ‘যুদ্ধ গর্জন’ বায়ুসেনার মিগ, অ্যাপাচের

বায়িসেনার এক আধিকারিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, রুশ সুখোই-৩০ এবং মিগ-২৯ ফাইটার জেট এবং অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অ্যাডভান্সড অ্যাটাক হেলিকপ্টার লাদাখে রাতের আকাশে নজরদারি এবং সামরিক অনুশীলন চালিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ১৯:২৬
Share:

লাদাখের অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে ভারতীয় বায়ুসেনার অ্যাপাচে। ছবি: টুইটার

রাতের অন্ধকার চিরে উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেট। জমির উপর হেলিকপ্টারের সন্ধানী সার্চ লাইট। এলএসি-র অদূরের একটি অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড থেকে ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টারের রাতের যুদ্ধাভ্যাসের এমনই কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজ মঙ্গলবার সামনে এসেছে। ভিডিয়ো প্রকাশ করে সংবাদসংস্থা এএনআই-এর টুইট, ‘‘ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ফরোয়ার্ড এয়ার বেস থেকে রাতে চিন সীমান্তের কাছে মহড়া হয়েছে।’’

Advertisement

ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক আধিকারিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, রুশ সুখোই-৩০ এবং মিগ-২৯ ফাইটার জেট এবং মার্কিন অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অ্যাডভান্সড অ্যাটাক হেলিকপ্টার রাতের আকাশে নজরদারি এবং সামরিক অনুশীলন চালিয়েছে। ছিল, রাতের উড়ানে সক্ষম এমআই-১৬ভি ফাইভ মাল্টিরোল কপ্টার এবং চিনুক ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টার। পাশাপাশি, লাদাখ সীমান্তের দুর্গম এলাকায় দ্রুত সেনা, রসদ এবং অস্ত্র পাঠাতে শ্রীনগর এয়ারবেসকে ‘লজিস্টিকস হাব’ হিসেবে ব্যবহার করছে বায়ুসেনা।

আরও পড়ুন: আগাম সতর্কতা, চিনকে টক্কর দিতে লাদাখে মোতায়েন বায়ুসেনার অ্যাপাচে

Advertisement

পূর্ব লাদাখের কিছু এলাকায় পিছু হটেছে চিনা ফৌজ। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএএসি) বিভিন্ন অংশে টানাপড়েন চলছে এখনও। এই আবহে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার উদ্দেশ্যে বায়ুসেনা লাদাখের আকাশে রাতের মহড়া করেছে। সোমবার গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলেছে এই যুদ্ধ অনুশীলন।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এন রাঠি লাদাখের ওই ফরওয়ার্ড এয়ার বেস থেকে এএনআই-কে বলেছেন, ‘‘গোটা পরিস্থিতি নজরে রেখে রাতের পরিবেশের সঙ্গে আমাদের আধুনিক সরঞ্জাম এবং একনিষ্ঠ কর্মীদের সড়গড় করে তুলতেই এই উদ্যোগ। এ ধরনের মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হল আকস্মিকতার মোকাবিলা।’’

আরও পড়ুন: চিনা পণ্যের নিষেধে ক্ষতি হবে ঠিকই, কিন্তু এ ছাড়া উপায় নেই আমাদের

গত দু’মাসে পূর্ব লাদাখের দুর্গম এলাকাগুলিতে দ্রুত সেনা, রসদ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু খামতি ধরা পড়েছিল বলে বিমানবাহিনী সূত্রের খবর। গ্রুপ ক্যাপ্টেন নিশান্ত সিং জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা শ্রীনগর এয়ারবেসকে লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় মহড়াও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অবস্থানগত দিক থেকে এই এয়ারবেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে সেনা এবং সামরিক উপকরণ পাঠানো সুবিধাজনক। অনেক বছর ধরেই আমরা এই কাজ করছি।’’ তবে আগের চেয়ে এবারের প্রস্তুতি অনেক ব্যাপক বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement