Khushbu Sundar

‘নীরব, ললিত, নমো=দুর্নীতি’! বিজেপি নেত্রীর পুরনো টুইট প্রকাশ্যে, ‘লজ্জিত নই’ বলছেন খুশবু

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিজেপি নেত্রী বলেন, “যে সময়ে মোদী পদবি নিয় টুইট করেছিলাম, তখন আমি কংগ্রেসে ছিলাম। তখন কংগ্রেস নেতাদের অনুসরণ করে দলের ভাষাতেই কথা বলেছিলাম।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৬
Share:

বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দরের পুরনো টুইট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। ফাইল চিত্র।

তিনি লজ্জিত নন। কেননা কংগ্রেসে থাকাকালীন মোদী পদবি নিয়ে ওই টুইট করেছিলেন। তা ছাড়া নেতাদের অনুসরণ করে কংগ্রেসের ভাষাতেই কথা বলেছিলেন। মোদী পদবি নিয়ে মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দরের একটি পুরনো টুইট প্রকাশ্যে এনে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছিল, বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা হওয়া উচিত নয় কি? তারই প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিলেন খুশবু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিজেপি নেত্রী বলেন, “যে সময়ে মোদী পদবি নিয় টুইট করেছিলাম, তখন আমি কংগ্রেসে ছিলাম। তখন কংগ্রেস নেতাদের অনুসরণ করে দলের ভাষাতেই কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখন সেই পুরনো টুইট আবার প্রকাশ্যে এনে আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কংগ্রেস কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মোদী পদবি নিয়ে খুশবু একটি টুইট করেছিলেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “এখানেও মোদী, ওখানেও মোদী। কিন্তু এটা কী? প্রত্যেক মোদীর আগে দুর্নীতিপরায়ণ পদবি রয়েছে। তা হলে বোঝা গেল তো, মোদীর অর্থ দুর্নীতিপরায়ণ। আসুন মোদী নামের অর্থ বদলে দুর্নীতি করে দিই। সেটাই ভাল হবে। নীরব, ললিত, নমো=দুর্নীতি।” প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিংহ খুশবুর সেই পুরনো টুইট প্রকাশ্যে এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ করে পাল্টা একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মোদীজি আপনি কি এ বার খুশবু সুন্দরের বিরুদ্ধে মোদী নামে আপনার কোনও শিষ্যকে দিয়ে মানহানির মামলা করাবেন? এখন তো উনি বিজেপির সদস্য। দেখি কী হয়।”

Advertisement

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘সব চোরেদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন?’’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী।

মোদী পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গত বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরত জেলা আদলত রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়। যে ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement