—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে খুন করে রেখে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে এলেন যুবক। একমাত্র সন্তানকে তুলে দিলেন শাশুড়ির হাতে। স্বীকার করে নিলেন খুনের কথাও। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।
হায়দরাবাদের উপ্পল এলাকার বাসিন্দা চৈতন্যা মগধনি (৩৬)। স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন তিনি। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। গত ৯ মার্চ ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ভিক্টোরিয়ার বাকলে শহর থেকে। রাস্তার ধারে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ এই খুনের তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, মহিলা হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর খোঁজ শুরু হয়।
অভিযুক্ত সন্তানকে নিয়ে হায়দরাবাদে ফিরে এসেছিলেন। শাশুড়ির কাছে সন্তানকে রেখে তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের তরফে দেহ দেশে ফেরানোর আর্জি জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ককে ওই আর্জি জানিয়েছেন মৃতের মা। উপ্পলের বিধায়ক ভান্ডারি লক্ষ্মা রেড্ডি মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়া থেকে মহিলার দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কী ভাবে, কেন মহিলাকে খুন করা হল, তার তদন্ত করছেন অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দারা। যুবকের খোঁজ চলছে। হায়দরাবাদে মৃতের মা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের জামাই মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে কেন খুন করা হল, কী সমস্যা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়।