এখানেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। ছবি : পিটিআই।
এতদিনে যেন তাঁর যন্ত্রণাকাতর মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। শুক্রবার সকালে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এই কথাই বললেন তেলঙ্গানায় ধর্ষিতা চিকিত্সকের বাবা। পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, “আমার মেয়ের মৃত্যুর ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার মেয়ের আত্মা নিশ্চয় এ বার শান্তি পাবে।”
শুক্রবার ভোরে গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত চারজনকে কড়া প্রহরায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সামসাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসে ওই ধর্ষিতা চিকিত্সকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা। পুলিশের দাবি, ওই সময়ই অভিযুক্ত চার জন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার স্বার্থে বাধ্য হয়ে গুলি ছোড়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ৪ অভিযুক্তের পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু
তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চারজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। সাইবরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি হয়েছে শুক্রবার রাত তিনটে থেকে ভোর ছ’টার মধ্যে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাদনগরে চাতানপল্লিতে থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তখনই পুলিশ গুলি ছোড়ে। এই এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় চার অভিযু আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলুর।