ধস নামার সেই দৃশ্য। ছবি: এক্স।
ওয়েনাড়ে কী ভাবে নেমে এসেছিল ধস, তারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাত তখন ১টা। হঠাৎই জল ঢুকতে শুরু করল বাড়ির উঠোনে। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে হুড়মুড়িয়ে আছড়ে পড়ল ধস। আর সেই ধসের নীচে চাপা পড়ে গেল গোটা বাড়ি। ধসের জেরে তার পর সিসিটিভি ক্যামেরাও ঝাপসা হয়ে যেতে দেখা গেল। রাতে সবাই তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। এই অবস্থায় ধস নামায় ওয়েনাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর সেই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
গত ৩০ জুলাই রাতে ওয়েনাড়ে ধস নামে। সেই ধসের জেরে মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা এবং ভেরারিমালার মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োটি কোন এলাকার, তা জানা যায়নি। তবে এই ভিডিয়োই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ধসের ঘটনার পর ২০ দিন কেটে গিয়েছে। উদ্ধারকাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে দিনের ধস ওয়েনাড়ের মানচিত্রই প্রায় বদলে দিয়েছে।
৩০ জুলাইয়ের আগের দিন থেকেই ওয়েনাড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ধস যে দিন নেমে এসেছিল, সে দিন ওয়েনাড়ের পাহাড়ি এলাকা কালপেট্টায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই বৃষ্টির জেরে হড়পা বান নেমে এসেছিল মেপ্পাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি গ্রামে। বড় বড় পাথর, কাদা আর জলের স্রোত নেমে এসেছিল গ্রামগুলিতে। একের পর এক গ্রাম নিশ্চিহ্ন করে চালিয়ার নদীতে গিয়ে পড়ে সেই ধস। ওয়েনাড়ের সেই বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’শোরও বেশি মানুষের। আহত শতাধিক।