Covid 19

Covid 19 Death: কত জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কোভিডে মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়ে অভিযোগ শোনার জন্য একটি কমিটি তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। ২৯ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২১ ০৭:০১
Share:

প্রতীকি ছবি

কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে আজ কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেনে এই বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটি তৈরির জন্য গুজরাত সরকারকে ভৎর্সনাও করেছে বেঞ্চ।

Advertisement

গুজরাতে কোভিডে মৃতদের সম্পর্কে অনুসন্ধান কমিটি তৈরির বিজ্ঞপ্তি খারিজ করার আবেদন পেশ হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনের শুনানিতেই বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, কত জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে রাজ্যগুলির কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানির আগে এই বিষয়ে অভিযোগ শোনার জন্য একটি কমিটি তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। ২৯ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

গুজরাতে কোভিডে মৃত্যু সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তৈরি হয়নি বলে আর্জিতে জানিয়েছেন আবেদনকারী। মেহতা এ দিন গুজরাত সরকারেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গুজরাতে এই বিষয়ে পরিবর্তিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে তাতেও আরও পরিবর্তন প্রয়োজন। বিচারপতিরা জানতে চান, প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি কে জারি করেছিলেন। মেহতা জানান, তিনি এর দায় নিতে তৈরি। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আপনি কেন দায় নেবেন? যে অফিসার এই বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছিলেন তাঁকেই দায় নিতে হবে।’’ মেহতা জানান, গুজরাতের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ আগরওয়াল ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির রয়েছেন। তিনি কোর্টকে সাহায্য করবেন। বেঞ্চের প্রশ্নের জবাবে আগরওয়াল জানান, এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দফতর কাজ করে। তার পরে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন। বিচারপতিরা জানতে চান, এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কে? আগরওয়াল জানান, মুখ্যমন্ত্রী। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আপনার মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছু না জানতে পারেন। আপনি রয়েছেন কী করতে? এটা যদি আপনার বিবেচনার নমুনা হয় তা হলে আপনি কিছুই বোঝেন না। আপনি কি আমাদের নির্দেশ বোঝেন? এটা আমাদের কাছে কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার জন্য আমলাতন্ত্রের চেষ্টা বলে মনে হয়েছে।’’ মেহতা জানান, ক্ষতিপূরণের ভুয়ো দাবি পেশ হচ্ছে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আমরা অনুসন্ধান কমিটি তৈরির নির্দেশ দিইনি। হাসপাতাল থেকে কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে কমিটির কাছে হাজিরা দিয়ে ক্ষতিপূরণ পেতে এক বছর কেটে যাবে। কোন হাসপাতাল কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র দিচ্ছে? ভুয়ো দাবি পেশ হচ্ছে বলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তেরা বিপাকে পড়তে পারেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement