ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। ছবি: টুইটার।
এক কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন। শনিবার সতনা জেলার দুই অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। বুলডোজ়ার নিয়ে এসে দু’জনের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বেআইনি ভাবে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিলেন অভিযুক্তেরা। তাই তাঁদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, বারো বছরের এক কিশোরীকে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মইহার শহরের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা হলেন রবীন্দ্র কুমার এবং অতুল ভালোদিয়া। তাঁরা একটি মন্দিরের ট্রাস্টের সদস্য। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর শরীরে একাধিক জায়গায় কাম়ড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছিল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মইহার পুরসভা এর পরই দুই অভিযুক্তের বাড়িতে বাড়ি নির্মাণের বৈধতা প্রসঙ্গে নোটিস পাঠায়। তার পরই শনিবার অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। মইহার পুরসভার দাবি, অভিযুক্ত ভাদোলিয়ার বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল সরকারি জমির উপরে। আর রবীন্দ্র কুমারের বাড়ির বৈধ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। আর সেই কারণেই দুই অভিযুক্তের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পুলিশকর্তারা বাড়ি ভাঙতে এলে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা হাতজোড় করে তাঁদের কাছে আর্জি জানান। তাঁরা অনুরোধ করেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ যেন না করা হয়। কিন্তু তাঁদের কাকুতিমিনতিতে বরফ গলেনি।