দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে মহারাষ্ট্রে যাচ্ছিল পুণে এক্সপ্রেস। করোন্দা স্টেশন থেকে সেই ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় চা বিক্রি করতে এক হকার উঠেছিলেন। অসংরক্ষিত কামরা হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে ভিড়ও ছিল যথেষ্ট। যাত্রীরা কেউ ট্রেনের মেঝেতে বসে, কেউ শুয়ে ছিলেন। কেউ আবার কোনও রকমে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে গাদাগাদি ভিড় ছিল ট্রেনটিতে।
চা বিক্রেতা ভিড় ঠেলে ঠেলে এগোচ্ছিলেন। আচমকাই চায়ের পাত্রের ঢাকনা আলগা হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে পাত্রটি বেসামাল হতেই গরম চা তিন যাত্রীর গায়ের উপর পড়ে। তাঁরা ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। রাত শেষ হয়ে সবে ভোর হয়েছে। ফলে অনেকেই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। আচমকা এই ঘটনা ঘটায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। কামরার অন্য যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কামরার ভিতরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এই পরিস্থিতি যখন চলছে, বড় বিপদ হয়েছে ভেবে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মারেন দুই যাত্রী। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনার কথা ট্রেনে থাকা আরপিএফের কাছে পৌঁছতেই মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা বীণা স্টেশনে ট্রেন থামানো হয়। তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ট্রেনে কাটা পড়ে যে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদেরও দেহ উদ্ধার করা হয়। যাত্রীরা ওই হকারকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেন।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। চা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত দুই যাত্রীর পরিচায় জানার চেষ্টা চলছে।