প্রতীকী ছবি।
এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর পাঁচ তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির দ্বারকায়। কিশোরীর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ খবর পায়, এক কিশোরী ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করতেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কিশোরীর অভিযোগ, তার এক পরিচিত তাকে একটি বহুতলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। বাধা দিতে গেলে পাঁচ তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
কিশোরীর বাবা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার মেয়েকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। তাকে ধর্ষণ করেন। তার পর পাঁচ তলা থেকে ঠেলে ফেলে দেন।” গুরুতর জখম অবস্থায় কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এই প্রথম নয়, এর আগেও কিশোরীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল বলে দাবি তার বাবার। সেই ঘটনাতেও গুরুতর জখম হয়েছিল কিশোরী। তার বাবার দাবি, এ বছরের জানুয়ারিতে স্কুল থেকে একদল ছেলে তাঁর কন্যাকে তুলে নিয়ে যায়। তার পর ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেই ঘটনার পর থেকে তার পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার কাউন্সেলিং চলছে। সেই ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ২০ দিন আগে একটি ওপেন স্কুলে আবার ভর্তি হয়েছিল। আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল কিশোরীর সঙ্গে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।