শোকস্তব্ধ পরিবার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
পঞ্জাবের বিষমদ কাণ্ডে মৃত বেড়ে হল ৮৬। প্রশাসন জানিয়েছে, শুধু তর্ণতারণেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭। তর্ণতারণ বাদে অমৃতসরে ১১ জন এবং গুরুদাসপুরের বাটালায় মৃতের সংখ্যা নয় ছাড়িয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড হয়েছেন আবগারি দফতরের ৭ জন কর্তা ও ৬ জন পুলিশকর্মী।
এক প্রবীণ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, বহু মৃতের পরিবারই মানতে রাজি নয়, বিষমদেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্যের। এমনকি বিষমদ নয় হৃদ্রোগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রিয়জনের, এমন বক্তব্যও উঠে এসেছে অনেকের বয়ানে। বৃহস্পতিবারই অমৃতসরে শোনা গিয়েছিল, মৃতদের অনেকেরই ময়না-তদন্ত না-করেই শেষকৃত্য করা হয়েছে। গুরুদাসপুরের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, অবিশ্বাস্য ঘটনা হল, দু’কিলোমিটারের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ-ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে জানিয়েছেন তিনি। তর্ণতারণের ডিসি কুলবন্ত সিংহ জানিয়েছেন, সেখানেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই পৃথক পাঁচটি দল গঠন করে অমৃতসর, বাটালা ও তর্ণতারণের ৪০টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এখনও দু’জন পলাতক। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমেছেন জালন্ধরের ডিভিশনাল কমিশনার। কংগ্রেস সাংসদ জসবীর সিংহ ডিম্পা জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারের জন্য দু’লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।