ছবি: 'টুইটার
যেন ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির দৃশ্য। ‘দারিদ্রের চিহ্ন’ মুছতে যে ভাবে হীরক রাজ্যে গৃহহীন মানুষদের শহরের বাইরে জঞ্জালের মতো ফেলে আসা হয়েছিল, বাস্তবে তেমনই ঘটল ইনদওরে। শনিবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ময়লা ফেলার গাড়িতে করে গৃহহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের শেষ সম্বল লোটা-কম্বল-সহ ফেলে দেওয়া হচ্ছে শহরের বাইরে, রাস্তার ধারে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এ ভাবে বৃদ্ধ মানুষদের ফেলে আসার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ বহু নেটাগরিক সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেন সামাজিক মাধ্যমে। যা নিয়ে নেট পাড়ায় হইচই শুরু হয়।
তারপরই বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেয় শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। ঘটনার দায় চাপিয়ে ইনদওর পুরসভার সহকারী কমিশনার প্রতাপ সোলাঙ্কিকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রশাসন। টুইট করে সেই নির্দেশের কথা জানান স্বয়ং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দুই পুরকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইন্দ্রনীল টুইটে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘বিজেপি সরকারের অমানবিক কার্যকলাপ দেখে হতবাক। এ ভাবে বৃদ্ধ ও হতদরিদ্র মানুষকে শহরের বাইরে তাড়িয়ে দিয়ে আপনারা দেশের ১ নম্বর পরিষ্কার শহর করতে চান? ওঁরা মানুষ নন? সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপনের অধিকার নেই ওঁদের? হাস্যকর এটাই যে, বিজেপি নেতারা নিজেদের মানুষের প্রতিনিধি বলে দাবি করেন’।
এই ঘটনায় ‘বিব্রত’ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান টুইটে লেখেন, ‘ইনদওর পুরসভার কিছু আধিকারিকের অমানবিক ব্যবহারের খবর পেয়েছি। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে পুর আধিকারিক ও দুই কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলাশাসককে বলা হয়েছে, এই বৃদ্ধদের যেন খেয়াল রাখা হয়। কোনও পরিস্থিতিতে আমরা বৃদ্ধ মানুষদের প্রতি এই ব্যবহার মেনে নেব না’।
পুর আধিকারিক অভয় রাজানগাওকর জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধদের শীতের হাত থেকে বাঁচাতে একটি সরকারি আবাসে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন তাঁদের রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হল, তা তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন।