Sudip Bandyopadhyay

সর্বদল বৈঠকে মোদীর সামনেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

সুদীপ বলেন, দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হল কৃষি আইন। ওই বিষয়ে সরকারকে ‘সদর্থক’ ভূমিকা নিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৩
Share:

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে তাঁর সামনেই নতুন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাশাপাশিই তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা লোকসভায় বাজেট ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেবে। প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অন্যান্য বিরোধীদলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেছিল তৃণমূল।

Advertisement

শনিবার সর্বদল বৈঠকে সুদীপ বলেন, দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হল কৃষি আইন। ওই বিষয়ে সরকারকে ‘সদর্থক’ ভূমিকা নিতে হবে। সুদীপ জানান, তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা করতে চান না। কিন্তু, যখন ২০টি বিরোধী দল সেই ভাষণ বয়কট করেছে, তখন সরকারের উচিত বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গিও বিবেচনা করা। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জোরে কৃষকদের উপর ‘অবিচার’ হওয়া উচিত নয়। সুদীপ জানান, তৃণমূল নিঃশর্তে ওই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় নেতাদের পাশাপাশিই সমস্ত দলের প্রধান নেতা বা নেত্রীকেও ডাকা হোক। বৈঠকে কৃষি আইন নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হোক। তা হলে দেশের কাছে ‘সদর্থক বার্তা’ যাবে যে, সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছে।

কৃষি আইন ছাড়াও বেকারত্ব নিয়েও মুখ খুলেছেন সুদীপ। তিনি বলেছেন, বেকার যুবক, যুবতীরা অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছে। দেশজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কীভাবে তাদের দিশা দেওয়া যায়, সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের কষ্ট আদৌ লাঘব করা যায় কিনা, এ নিয়ে সংসদে বিশদে আলোচনা হওয়া উচিত।

Advertisement

এরই পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শাসকদলের প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার ফলে রাজ্য সরকার কাজ করতে পারছে না। কেন্দ্র, রাজ্য দুই সরকারই জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। সেই সূত্রেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ‘চরিত্র এবং দর্শন’ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন সুদীপ। রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, বিদেশনীতিতে তাঁরা সরকারের পাশেই থাকেন। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যাগুলিও আলোচনা হওয়া উচিত বলে অভিমত তৃণমূলের।

খাদ্য, ক্রেতাসুরক্ষা এবং গণবন্টন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে সুদীপ বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ নীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ভাষণে দাবি করা হয়েছে, ‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ ইতিমধ্যেই দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। ওই বিষয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেছেন সুদীপ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement