সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই।
বেজায় ফাঁপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গত কাল প্রকাশ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘বিপরীত’ অবস্থান নিয়েছেন। তার পর থেকে মুখে কুলুপ স্বরাষ্ট্র কর্তাদের। আপাতত এনআরসি থেকে সিএএ, কার্যত কোনও বিষয়েই মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। তবে সরকারি সূত্রে খবর, জনগণনা ও এনপিআর-এর বরাদ্দ নিয়ে আগামিকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
অথচ সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকে এত দিন প্রায় রোজই কোনও না কোনও স্বরাষ্ট্রকর্তা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ফলাও করে সিএএর প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছিলেন। এনআরসির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সরব হচ্ছিলেন। কারণ তত দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করে বসে আছেন, গোটা দেশেই অসমের ধাঁচে এনআরসি হবে। তাই এত দিন মন্ত্রীর সুরেই স্বরাষ্ট্র কর্তাদের যুক্তি ছিল, দেশে কত সংখ্যক বৈধ নাগরিক রয়েছে, তা জানার জন্য এনআরসি-র প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই নাগরিকপঞ্জি রয়েছে। সূত্রের খবর, সিএএ-র নিয়মবিধির সঙ্গেই কী ভাবে গোটা দেশে এনআরসি হবে, সেই রূপরেখা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল মন্ত্রক জুড়ে।
কিন্তু কাল প্রধানমন্ত্রী এনআরসি প্রসঙ্গে মুখ খোলার পরেই কার্যত ব্যাকফুটে অমিত শাহের মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘‘এনআরসি বিষয়টি সংসদে আসেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও নয়। না কোনও নিয়মকানুন হয়েছে। আমি ১৩০ কোটি দেশবাসীকে বলতে চাই, ২০১৪ সাল থেকে এনআরসি নিয়ে একটি বাক্যও চর্চা হয়নি।’’ আজ এনআরসি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একটি শব্দও খরচ করতে চাননি মন্ত্রক কর্তারা। দিনের শেষে সিএএ সংক্রান্ত দু’টি ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া হয়। কিন্তু তার কোনও ব্যাখ্যায় যায়নি মন্ত্রক।