হিমাচল প্রদেশে জয়ের পর কংগ্রেস কর্মীদের উচ্ছ্বাস। ছবি পিটিআই।
‘রেওয়াজ’ মেনেই সরকার বদল হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। পাঁচ বছরের গেরুয়া রাজত্বের পর এ বার এই পার্বত্য রাজ্যের কুর্সি ‘হাতে’র মুঠোয়। ৬৮ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৪০টি কেন্দ্রে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস শিবির। হিমাচল দখলের পরই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দলের পরিষদীয় নেতা কে হবেন— তা স্থির করতে নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে শুক্রবার শিমলায় বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
হিমাচলে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা বাছাই করবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। শুক্রবারের বৈঠকে এ নিয়ে প্রস্তাব পাশ করা হতে পারে। এর আগে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের চণ্ডীগড়ে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরে নির্বাচনী ফলাফলে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরই চণ্ডীগড়ে বিধায়কদের ডেকে পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করে দেন দলীয় নেতৃত্ব।
হিমাচলের দায়িত্বে থাকা এআইসিসি নেতা রাজীব শুক্ল জানিয়েছেন যে, নির্বাচনী ফলাফলে কংগ্রেস নেতৃত্ব খুবই খুশি। আগামী দিনে সে রাজ্যে সুশাসন চালানোর জন্য কংগ্রেস বদ্ধপরিকর বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। শুক্ল বলেছেন, ‘‘দলের দুই পর্যবেক্ষক— ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও শীর্ষ নেতা ভূপিন্দর হুডাও শিমলা যাচ্ছেন আমার সঙ্গে।’’
অন্য দিকে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা হবে, এ নিয়েও বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। সে রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিংহকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পত্নী প্রতিভাকে এ বার ‘বড় দায়িত্ব’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁর পুত্র তথা বিধায়ক বিক্রমাদিত্য সিংহ। বর্তমানে মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিভা। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করেননি। প্রতিভার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পুত্র বিক্রমাদিত্যকে নিয়েও আশাবাদী তাঁদের অনুগামীরা। এ বার শিমলা গ্রামীণ কেন্দ্র থেকে লড়ে জয়ী হয়েছেন বিক্রমাদিত্য। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভারের জন্য বিক্রমাদিত্য অনেকটাই ‘ছোট’ বলে মনে করেন সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এ ছাড়াও হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসাবে চর্চায় রয়েছে বর্তমান বিরোধী দলনেতা সুখবিন্দর সুখু, মুকেশ অগ্নিহোত্রী ও কুলদীপ সিংহ রাঠৌর।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ে সন্তর্পণেই পা ফেলতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে রাজীব শুক্ল বলেছেন, ‘‘বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড।’’