ভোট দিচ্ছেন শ্যামশরণ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
‘‘জানি মৃত্যুর সময় চলে এসেছে। কিন্তু মরার আগে ভোটটা দিয়ে যেতে চাই।’’
২০১৭-য় হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে কথাগুলি বলেছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামশরণ নেগি। তখন তাঁর বয়স ১০১ বছর!
১০৬ বছরেও মৃত্যু ছুঁতে পারেনি শ্যামশরণকে! বুধবার পোস্টাল ব্যালটে ৩৪তম ভোট দিলেন কল্পার এই বৃদ্ধ। গড়লেন, হিমাচলের ১৪টি বিধানসভা ভোটেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের রেকর্ড। বয়স জনিত কারণে অশক্ত হয়ে পড়া ১০৬ বছরের শ্যামশরণ এখন ভাল ভাবে চলাফেরা করতে, কথা বলতে পারেন না। কিন্তু তা বাধা হল না গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতায়।
আগামী ১২ নভেম্বর হিমালয় ঘেরা ওই পাহাড়ি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগেই বুধবার কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আমির সাদিকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ শ্যামশরণের কল্পার বাড়িতে গিয়ে তাঁর ভোট সংগ্রহ করেন। শুধু শ্যামশরণ নন, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট সংগ্রহ শুরু হয়েছে বুধবার থেকে।
স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোট হয়েছিল ১৯৫২-র ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু হিমাচলের কিছু পাহাড়ি এলাকা তখন বরফে ঢাকা থাকবে বলে ৬ মাস আগে সেখানে নির্বাচন হয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৫১ সাল। তখন সকলের আগে ভোট দিয়েছিলেন শ্যামশরণ। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে গুগল তাঁর এই কাহিনি নিয়েই একটি ভিডিয়ো বানিয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। তখন থেকেই সেলেব্রিটি এই প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে তাঁর মুখ।