নিয়মিত ভাবেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা দেখেন কিম। ছবি: রয়টার্স।
ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র! সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে এই প্রথম বার উত্তর কোরিয়া নিক্ষেপের ‘বদলা’ নিল দক্ষিণ কোরিয়া।
বুধবার পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ার পরেই দ্রুত পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সোল। ঘটনার জেরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকার উপকূলবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বাসিন্দাদের ‘নিরাপদ এলাকায়’ সরানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি টিভি দ্রুত ওই কিছু উপকূলের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার বার্তা দেয়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষপণ করে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে একটি গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের জলসীমার অদূরে। এর পরেই পাল্টা উত্তর কোরিয়ার জলসীমা ঘেঁষে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। পঞ্চাশের দশকে কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম বার বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় অস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটল।
উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের বিরুদ্ধে বুধবার আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে জলসীমা দখলের চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া।’’ প্রসঙ্গত, পিংয়ংইয়ংয়ের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি যেখানে পড়েছে, সেই অঞ্চলের জলসীমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’দেশের বিরোধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ায় জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ‘জবাবে’ জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর পর থেকে একাধিক বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ সম্প্রতি জানিয়েছে, পরমাণু হামলার ক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হচ্ছে।