রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। ফাইল চিত্র ।
হিমাচল প্রদেশে ভোটগণনা এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু তার আগেই কংগ্রেস প্রার্থীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে আটঘাট বাঁধছে হিমাচলের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিতে গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। হিমাচলে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ভোটের ধারা অনুযায়ী, সেই রাজ্যে বিজেপির থেকে একটু এগিয়েই রয়েছে কংগ্রেস। আবার ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছিলেন না ভোটপণ্ডিতরা। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের চিন্তা বাড়ছে বই কমছে না। কংগ্রেস জিতলে এমনকি, ত্রিশঙ্কু হলেও ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র আশঙ্কা করছেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর মধ্যেই আবার ভোটের ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের দলে ফেরাতে বৃহস্পতির সকালেই বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে হিমাচলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আর তাতে কংগ্রেসের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তড়িঘড়ি কংগ্রেস প্রার্থীদের রাজ্য থেকে দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলে বিজেপির ‘সিঁদ’ কাটা রুখতে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের রাজস্থানের জয়পুরের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। ইতিমধ্যেই হিমাচল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে রাজস্থান কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও কংগ্রেস সূত্রে খবর। জয়ী প্রার্থীদের আর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তীসগঢ়েও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে বলছে কংগ্রেসের আর একটি সূত্র। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার মধ্যেই এই বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটগণনার শুরুতেই কংগ্রেস অনেকগুলি আসনে এগিয়ে থাকার পর পরই ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা শুরু হয় হিমাচল কংগ্রেসের অন্দরে। এর মধ্যেই বিজেপির বিনোদ তাওড় হিমাচলে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আরও সতর্ক হচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত হিমাচলে কংগ্রেস এগিয়ে ৩৬টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ২৯টিতে। ৩টি আসনে এগিয়ে অন্যরা।