নড্ডার ঘরের মাঠে বিজেপির জন্য কী অপেক্ষা করছে? ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস——— ৪০
বিজেপি——— ২৫
নির্দল———— ৩
*সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
সিমলার ম্যাল রোডে ভোটের ফল ঘোষণার উদগ্রীব অপেক্ষায় জনতা। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস—— ৪৩.৯০ শতাংশ
বিজেপি—— ৪৩ শতাংশ
আপ——— ১.১০ শতাংশ
অন্যান্য—— ১০.৩৯ শতাংশ
নোটা——— ০.৫৯ শতাংশ
*সন্ধে সাড়ে ৭টার পর চূড়ান্ত ফল
৬৮টি আসনের মধ্যে ১টিতে জিতেছে কংগ্রেস। এগিয়ে রয়েছে ৩৯টি আসনে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গণনায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এগিয়ে রয়েছে ২১টি আসনে। এ ছাড়া ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আপ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। হিমাচলে আপ প্রার্থীরা কোনও আসনেই এগিয়ে নেই।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গণনার হার বলছে, হিমাচল প্রদেশে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের নিরিখে এগিয়ে গেয়েছে কংগ্রেস। দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ ৪৩.৯২ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের। ৪২.৯৭ শতাংশ ভোট বিজেপির।
কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংহ তথা হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পুত্র জয়ী হলেন সিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে। ফাইল চিত্র।
হিমাচলপ্রদেশে জিতে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র বিক্রমাদিত্য সিংহ। সিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রের প্রার্থী বিক্রমাদিত্য ৩২ হাজার ৯৭৩টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী রবি কুমার মেহতাকে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের পুত্র অনিল শর্মা বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র মাণ্ডিতে। তাঁর বিপক্ষে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল তারকা নেতা চম্পা ঠাকুরকে। চম্পা হিমাচলের সাত বারের বিধায়ক তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঠাকুর কওল সিংহের কন্যা। নিজেও দু’টি জেলা পরিষদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে মাণ্ডিতে চম্পাকে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন অনিল। চম্পা ২০ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়েছেন। যেখানে অনিলের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩০ হাজার ২০৪।
জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না চম্পা। ফাইল চিত্র।
হারোলিতে প্রার্থী হয়েছিলেন হিমাচলের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। ১৫৭৩০টি ভোট পেয়ে আপাতত এগিয়ে রয়েছেন তিনি। কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে ১২৪৮৩ ভোট পেয়ে তাঁর পিছনেই রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রাম কুমার।
মানালিতে কংগ্রেস আর বিজেপির জোড় লড়াই চলছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভুবনেশ্বর গৌর এগিয়ে রয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে। অন্য দিকে বিজেপির গোবিন্দ সিংহ ঠাকুর এক হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছেন।
হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পুত্র বিক্রমাদিত্য সিংহ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। সিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। ২১৯৩৫টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির রবি কুমার মেহতা। তিনি ১২৫৮৭টি ভোট পেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে বিক্রমাদিত্যের থেকে।
জয়ী বিজেপির জয় রাম। ফাইল চিত্র।
হিমাচল প্রদেশের সেরাজে জিতল বিজেপি। এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনিই জিতেছেন। হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী চেতরাম ঠাকুরকে। জিতলে চেতরাম কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে জল্পনা ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গণনার ধারা অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশে ভোট শতাংশ ক্রমশ বাড়ছে কংগ্রেসের। বিজেপি পেয়েছে ৪৩.৫৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৪৩.৩১ শতাংশ।
হিমাচলে সরকার গড়তে দরকার ৩৫টি আসন। সেটিই জাদু সংখ্যা তথা ম্যাজিক ফিগার। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গণনার ধারা বলছে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হিমাচলে ৩৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ২৭টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
১৯৮২ সাল থেকেই মত বদলানোর রেওয়াজ হিমাচলে। ওই বছরই প্রথম হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। তার আগে কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জনতা পার্টি। যদিও ক্ষমতায় মূলত রাজ করেছে কংগ্রেসই। ১৯৮২ সালে প্রথম বছর বিধানসভা ভোটে লড়েই ২৯টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। পরের বছর অবশ্য সেই আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭-এ। তার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রেওয়াজ বিশেষ বদলায়নি। বস্তুত ১৯৮৫ সাল থেকে কোনও রাজনৈতিক দলই ৫ বছরের বেশি রাজ করেনি হিমাচলে। ১৯৯৮ সালে শুধু হিসাব সামান্য গুলিয়ে গিয়েছিল। রেওয়াজ অনুযায়ী সে বার বিজেপির জেতার কথা কিন্তু ফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। কংগ্রেস এবং বিজেপি— দু’দলই ৩১টি করে আসন জিতেছিল হিমাচলে। তবে শেষপর্যন্ত বিজেপিই অন্য স্থানীয় দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে। বৃহস্পতিবার গণনার যা ধারা, তাতে অনেকেই মনে করছেন ২৪ বছর আবার ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে হিমাচলে হয়তো কোনও দলই শেষ পর্যন্ত জাদু সংখ্যা ছুঁতে পারবে না।
জয়রাম ঠাকুর অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী চেত রামকে। ফাইল চিত্র।
হিমাচল প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর ২৩১৩৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত। হিমাচল প্রদেশের সেরাজ কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন জয় রাম। একই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন হিমাচলে কংগ্রেসের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চেত রাম ঠাকুরও। তিনি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন জয়রামের থেকে।
আসন সংখ্যা যেমনই হোক ভোট শতাংশের হিসাবে এখনও হিমাচলে এগিয়ে বিজেপি। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব বলছে, ৪৪.০৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছে ৪২.৬৪ শতাংশ ভোট।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটের ট্রেন্ড বলছে ৩৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৩২টি আসনে বিজেপি। তবে আশঙ্কা হিমাচলি রেওয়াজ ভেঙে এ বার ত্রিশঙ্কু হতে পারে উত্তরের এই রাজ্যে।
সকাল ১০টা নাগাদ কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে কিছুটা এগিয়ে গেল বিজেপি। হিমাচলপ্রদেশে ৩৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে।
হিমাচল প্রদেশে গণনার শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি এবং কংগ্রেসে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এগিয়েছিল কিছুটা এগিয়েছিল বিজেপি। তার পরেই কংগ্রেস এগিয়ে যায়। আপাতত ৩২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৩টি আসনে। আম আদমি পার্টি এখনও কোনও আসনে এগিয়ে নেই। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি এগিয়ে রয়েছে ৩টি আসনে।
হিমাচল প্রদেশে ভোটগণনা শুরু হল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে। ৬৮ আসনে ভোটগণনা। সরকার গড়তে হলে দরকার ৩৫টি আসন।
ইন্ডিয়া টুডে মাই অ্যাক্সিস ইন্ডিয়া বুথফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিজেপি পেতে পারে ২৪-৩৪টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ৩০-৪০টি আসন, অন্যান্যরা ৪-৮টি আসন। আপ খাতা খুলতে পারবে না।
এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল,বিজেপি পেতে পারে ৩৩-৪১টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২৪-৩২টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ০-৪টি আসন। এখানেও আপকে একটি আসনও দেওয়া হয়নি।
নিউজ ২৪- টুডে’জ চাণক্যের সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিজেপি পেতে পারে ৩৩টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ৩৩টি আসন, অন্যান্যরা ১-৩টি আসন। এখানেও আপের খাতা শূন্য।
টাইমস নাও- ইটিজির বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, বিজেপি পেতে পারে ৩৪-৪২টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২৪-৩২টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ১-৩টি আসন। আপকে কোনও আসন দেওয়া হয়নি।