ফাইল চিত্র।
ইসলাম ধর্মে হিজাব পরা অপরিহার্য নয়। হিজাব-বিতর্ক মামলায় এই রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এক দল পড়ুয়া। মামলাকারীদের প্রশ্ন, কারও ক্ষতি না করে কোনও পড়ুয়া হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে তাঁর অধিকারে কি হস্তক্ষেপ করতে পারে রাষ্ট্র?
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। কর্নাটকের সীমানা পেরিয়ে হিজাব বিতর্ক ঢুকে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতেও। হিজাব নিষেধাজ্ঞার পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। তার প্রেক্ষিতে কর্নাটক হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ইসলামের ধর্মীয় রীতি মেনে হিজাব পরা মুসলিম মহিলাদের জন্য অপরিহার্য নয় এবং তা ধর্মীয় অনুশীলনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের মধ্যেও পড়ে না।
আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলাকারীরা প্রশ্ন তোলেন, অন্যের ক্ষতি না করে কোনও পড়ুয়া হিজাব পরলে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না। সেই পড়ুয়া হিজাব পরাকে তাঁর ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ বলে মনে করে, তাতেই বা সমস্যা কোথায়? প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া পোশাকবিধির কারণে এক জন নারীর মর্যাদা এবং শিক্ষার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারী পড়ুয়ারা।