Digital Arrest

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন, মোদীর সতর্কবার্তার পরই উদ্যোগী শাহের মন্ত্রক

রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৩১
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরই সাইবার প্রতারণার এই নতুন ছক নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করল কেন্দ্র। ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এ বার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও খবর।

Advertisement

অমিত শাহের মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানেই নতুন কমিটি পরিচালিত হবে। কমিটির মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি) দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।

সাইবার অপরাধ চক্র প্রায়ই কোনও না কোনও নতুন পন্থা অবলম্বন করে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষ। টাকা খোয়ানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নথি হাতানোর মতো অপরাধ ঘটে। বর্তমানে সাইবার প্রতারকদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’। মাস কয়েক আগেও এই নতুন শব্দবন্ধ অপরিচিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের কপালে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার অপরাধ নথিভুক্তির পোর্টাল (এনসিআরপি)-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে অভিযোগ জমা হয়েছিল সাড়ে ১৫ লাখের কিছু বেশি। ২০২২ সালে অভিযোগ জমা পড়েছিল সাড়ে ৯ লাখের কিছু বেশি। ২০২১ সালে তা ছিল সাড়ে ৪ লাখ। গত তিন বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়, উদ্বেগ কতটা গুরুতর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেন মোদী। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সাবধান করে বলেন, “ডিজিটাল গ্রেফতারির জালিয়াতি থেকে সতর্ক থাকুন। তদন্তের জন্য কোনও সরকারি সংস্থা কখনওই আপনার সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে যোগাযোগ করবেন না।” অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে এই ধরনের ফোনকল রেকর্ড করার পরামর্শ দেন মোদী। সম্ভব হলে ‘স্ক্রিন রেকর্ড’ করার কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে জানান, কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ধমক বা হুমকি দেয় না। পাশাপাশি যখনই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে, তা ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement