চম্পই সোরেন। — ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তাতে নাম রয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রাক্তন সহযোগী চম্পই সোরেনের। গত অগস্টে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হেমন্তের বৌদি সীতা সোরেনকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডিরও।
১৩ এবং ২০ নভেম্বর, দু’ দফায় ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। শনিবার ৮১টির মধ্যে ৬৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। সরাইকেল্লা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন চম্পই। তাঁর ছেলে বাবুলাল সোরেন প্রার্থী হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা আসনে। জামতারায় বিজেপির প্রার্থী হেমন্তের বৌদি সীতা। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলালকে ধানওয়ারে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বাবুলাল এখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গুমলায় তারা প্রার্থী করেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুদর্শন ভগৎ এবং জগনাথপুরে প্রার্থী করেছে গীতা কোড়াকে।
ঝাড়খণ্ডে ৭৮টির মধ্যে বিজেপি লড়ছে ৬৮টি বিধানসভা আসনে। তাদের শরিক অল ঝাড়খণ্ডস স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন ১০টি আসনে লড়বে। জনতা দল ইউনাইটেড দু’টিতে এবং লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) লড়বে একটি আসনে।
গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান হেমন্ত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। পদ ছাড়তে হয় চম্পইকে। তবে রেখে দেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। এর পর গত অগস্টে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সিংভূম অঞ্চলে চম্পইয়ের দারুণ প্রভাব। মনে করা হচ্ছে, এই চম্পইকে সামনে রেখেই সিংভূম অঞ্চলে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৮১টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।