বরফে ঢেকে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় শীত-বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। তবে উত্তর ভারতে এখনও ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে কনকনে আবহাওয়া। চলছে তুষারপাতের মরসুম। সোমবারও উত্তরের তিনটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টি এবং ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে হতে পারে তুষারধস। মৌসম ভবনের তরফে সেখানকার বাসিন্দাদের খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমের উঁচু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিন রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে বরফ পড়তে পারে অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়।
কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরেই বরফ পড়ছে। রাস্তাঘাট সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। বাড়ি, গাড়ির উপরেও বরফের আস্তরণ পড়তে দেখা গিয়েছে। এর মাঝে সোমবার আরও তুষারপাতের কারণে তুষারধস নামতে পারে উপত্যকায়, মৌসম ভবনের পূর্বাভাসে সেই ইঙ্গিত রয়েছে। তবে আবহবিদেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে কাশ্মীরে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
রবিবারও অত্যধিক তুষারপাতের কারণে কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বাতিল হয়েছে অনেক বিমান। জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বরফের পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পর্যটকেরা যার ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। অনেকে পাহাড়ে আটকে পড়েছেন।
দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্যে আবার অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের নিচু এলাকাতেও বৃষ্টি হয়েছে রবিবার। বৃষ্টির কারণেই এই রাজ্যগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা বেশ কমেছে।
আবহাওয়ার কারণে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা ইতিমধ্যে তা নিয়ে যাত্রীদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করেছে। ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে যাত্রা শুরু করতে বলা হয়েছে।