Jharkhand Political Crisis

‘আস্থা’র প্রমাণ দিতে সোমে অগ্নিপরীক্ষা চম্পইয়ের, ধৃত হেমন্তও ভোট দেবেন, কী বলছে বিধানসভার অঙ্ক?

সোমবার আস্থা ভোটে যোগ দিতে পারবেন ধৃত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। জমি জালিয়াতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। আদালত তাঁকে ভোটে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৬
Share:

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। —ফাইল চিত্র।

সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ‘অগ্নিপরীক্ষা’ হতে চলেছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনের। তাঁকে শপথগ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল। সোমবার সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষা হবে আস্থা ভোটের মাধ্যমে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিললে চম্পইয়ের সরকারই হবে ঝাড়খণ্ডের স্থায়ী সরকার।

Advertisement

সোমবার আস্থা ভোটে যোগ দিতে পারবেন ধৃত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। জমি জালিয়াতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন ইডি হেফাজতে। এর মাঝেই আস্থা ভোটে যোগ দিতে চেয়ে রাঁচীর বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। আদালত তাঁকে অনুমতি দিয়েছে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা হল ৪১। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে চম্পই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের দিনেই শুক্রবার রাতে শাসক জোটের ৩৭ জন বিধায়ককে রাঁচী থেকে হায়দরাবাদের বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রিসর্টে ছিলেন ওই বিধায়কেরা। পরে রবিবার আবার রাঁচীতে ফিরে এসেছেন তাঁরা। সোমবার আস্থা ভোটে অংশ নেবেন।

ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই এখন ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার বদলের আশঙ্কা করছেন। অতীতে যে অভিযোগ রয়েছে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, আস্থা ভোটের আগেই বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ হয়ে যেতে পারে। সেই ‘ভয়’ থেকেই বিধায়কদের ভিন্‌রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

জমি জালিয়াতি মামলায় গত বুধবার প্রায় সাত ঘণ্টা হেমন্তের রাঁচীর বাসভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগেই রাজভবনে গিয়ে হেমন্ত ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। তার পর শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন চম্পই। তাঁর সরকার ঝাড়খণ্ডে টিকবে কি না, সোমবার তার ফয়সালা হবে আস্থা ভোটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement