উত্তরপ্রদেশের থেকে পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ। ফাইল চিত্র।
যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের কাছে গোল খেয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। খুব অল্পের জন্য পিছিয়ে পড়ল। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই পারদ চড়ছে। চাঁদিফাটা রোদ আর গা জ্বালানো গরম— এই দুইয়ে অস্থির সকলে। গত কয়েক দিনের মতো সোমবারও দেশের বিভিন্ন শহরে পারদ চড়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দেশের মধ্যে উষ্ণতম শহর ছিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। গরমের নিরিখে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। এই রাজ্যের মধ্যে সোমবার সবচেয়ে উষ্ণ জেলা ছিল বাঁকুড়া।
সোমবার প্রয়াগরাজের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের মধ্যে সোমবার প্রয়াগরাজ ছিল উষ্ণতম শহর। প্রায় ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায়। সেখানে সোমবার পারদ চড়েছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.৭ ডিগ্রি বেশি। আর একটু হলেই গরমে নজির গড়ে ফেলত বাঁকুড়া। এপ্রিল-মে মাসের গরমে রাজ্যের বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করে। তবে এ বার যেন একেবারে অসহনীয় গরম।
উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ— রাজনৈতিক আঙিনায় এই দুই রাজ্যের মধ্যে প্রায়শই তুলনা চলে। সম্প্রতি গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের হত্যা ঘিরে সরগরম উত্তরপ্রদেশ। আবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তেতে রয়েছে বাংলার রাজনীতি। এই আবহে গরমেও দুই রাজ্যের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি বীরভূমের শ্রীনিকেতন, পানাগড়েও তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। সোমবার শ্রীনিকেতনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি।
উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশারও একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। সোমবার বাংলার এই পড়শি রাজ্যের বারিপদায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, সোমবার দেশের বিভিন্ন শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি বেশি।
মঙ্গলবারও থাকবে গরমের দাপট। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, সিকিমে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। রবিবার মহারাষ্ট্রে গরমে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ওড়িশায় গরমে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮টি বাদুড়ের।