ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যাতে অতিরিক্ত নজর দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিবদের চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব।
করোনা পরিস্থিতিতে ঝড়ের মুখে পড়তে পারে এমন রাজ্যগুলির উপকূলবর্তী এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি, এই রাজ্যগুলির কোথাও যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনও গাফিলতি না থাকে, সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি করে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ফোন নম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে এই রাজ্যগুলির উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। করোনা চিকিৎসার জন্য যাতে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়, সে দিকেও রাজ্য প্রশাসনকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে ঝড়ের ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবায় ঘাটতি থাকতে পারে, সেই কারণে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন পরিষেবায় যাতে ঘাটতি না থাকে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির দাপটে অনেক জায়গাতেই রাস্তা বন্ধ হতে পারে, তারপরেও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ যাতে সময়মতো পৌঁছে দেওয়া যায়, তারও বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিবের দেওয়া চিঠি
এ দিকে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৪ মে-র মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। শেষে এটি পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ২৬ মে সকালে।